যেখানে গাছপালা একটু বেশি, সেখানে পাখিদের আনাগোনাও বেশি হয়। ঢাকায় সবুজ ক্রমেই হারাচ্ছে, আর তা দূরে ঠেলছে পাখিদের।
Published : 28 Aug 2023, 12:14 PM
“আসলে চোখ থাকলেই কি সবাই দেখতে পায়? দেখতে চাইতে হয়। রোজ বারান্দায় যে পাখিটি এসে বসে, যে বিড়ালটা কেবল তাকিয়ে থাকে- সেটিই কেবল ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট? হয়ত বোঝা হয় না, এক্সেপ্টও করা হয় না।”
গ্রামীণফোনের একটি ভিডিওচিত্রের সংলাপ এটি। এতে দেখানো হয়, মানুষের সঙ্গে প্রাণীদের বন্ধুত্বের গল্প। এবারের বন্ধু দিবসের উদযাপনকে নতুন রূপে হাজির করেছে গ্রামীণফোন, যা প্রাণীর সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বকে বিশেষ করে তুলেছে।
গ্রামীণফোনের ফেইসবুক পাতায় গিয়ে দেখা যায়, ভিডিওটির ট্যাগলাইনে লেখা- “আপনার আমার মতো ওদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। তবু ওরা ঠিকই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেয়।”
বন্ধু দিবসে গ্রামীণফোনের এই প্রচার দৃশ্যত মনে করিয়ে দেয়, চারপাশে মানুষের এমন কিছু বন্ধুও আছে, যারা চার পায়ে হাঁটে কিংবা ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ায়। আকাশে উড়ে বেড়ানো ওই বন্ধুদের কেউ কেউ অবশ্য মানুষের কাঁধেও নেমে আসে।
তেমনি একজন মানুষ ছিলেন আহমদ ছফা, বাঁশি বাজাতেন, কাঁধে টিয়া পাখি নিয়ে নগর ঢাকার পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন। খাঁচায় শালিক পাখিও পুষতেন লেখক ও ভাবুক হিসেবে পরিচিত এই মানুষটি। একদিন মনে হলো বনের পাখিকে খাঁচায় রাখা ঠিক হচ্ছে না। তাই পোষা শালিককে ছেড়ে দেওয়া হল। কিন্তু পরে দেখলেন পাখিটি আরও একটি শালিক সঙ্গী নিয়ে তাঁর বাড়িতেই ফিরে এসেছে।
সেই দৃশ্য বর্ণনা করে ছফা লিখেছিলেন, “আমার পাখি পুত্রটি একটি বউ জুটিয়ে নিতে পেরেছে দেখে খুব আনন্দ হলো।” আরও লিখলেন, “এই পুষ্প, বৃক্ষ, তরুলতা, বিহঙ্গ আমার জীবন এমন কানায় কানায় ভরিয়ে তুলেছে যে আমার মধ্যে কোনো একাকিত্ব, বিচ্ছিন্নতা এখন আর অনুভব করি না। আমি পাখি পুত্রের কাছে বিশেষভাবে ঋণী। পাখিটি আমাকে যা শিখিয়েছে, কোনো মহৎ গ্রন্থ, তত্ত্বকথা কিংবা গুরুবাণী আমাকে সে শিক্ষা দিতে পারেনি।”
ফুল, পাখি আর গাছেদের সঙ্গে মানুষের ভালোবাসার ইতিহাস আবহমান কালের। এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে টিয়া, ময়না ও শালিকের সখ্যের নজিরও ভুরি ভুরি। রূপকথা থেকে লোকসাহিত্যে কথা বলা টিয়া রাজকুমার কিংবা রাজকন্যাকে রক্ষা করেছে, এমন গল্প মেলে। শুক পাখিও পুরানের অংশ হয়ে উঠেছে।
আজকাল বুনো পাখি পোষার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলেও খাঁচার পাখি আছে অনেকের বাসা-বাড়িতেই। আবার মুক্ত পাখিরাও নাগরিকজনের ছাদে আর বারান্দায় আসে খাবার খেতে।
বৃক্ষ, ফুল পাখিরাও চায় মানুষের ভালোবাসা। মানুষের সহনাভূতি পেলে তারাও এই নগরীর অংশ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে রাজধানী ঢাকা যেন ক্রমশ ফুল-পাখিদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে।
আহমদ ছফা লিখেছিলেন, “ফুল ফোটানো সহজ কথা নয়/ শূন্য থেকে মূর্ত করা সৃষ্টির বিস্ময়...”। অথচ মানুষের ভালোবাসা পেলে কত সহজেই গাছ হয়, ফুল ফোটে এবং পাখিরা মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াতে পারে।
কোথাও পাখির মেলা, কোথাও শূন্যতা
“ভাত ছিটালে নাকি কাকের অভাব হয় না। বছর পাঁচেক আগে কাকের উৎপাতে ছাদে কোনো কিছু শুকাতে দিতেই বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। এখন খাবার দিয়েও কাকের দেখা খুব একটা মেলে না। চিল, শালিক, চড়ুই, দোয়েল পাখিও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে,” বলছিলেন মোহাম্মদপুরের আদাবরের মনসুরাবাদের বাসিন্দা নূরজাহান আক্তার।
অন্যদিকে ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা নূর-ই আলম নাহিদ বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় কবুতর, মোরগ-মুরগি পালেন। এই সব পোষ্যদের জন্য রাখা খাবারে নিয়মিতই ভাগ বসায় অন্য পাখিরা। তিনি ছাদবাগানের কামরাঙা, করমচা, পেয়ারাসহ অন্য আরও কিছু ফল না তুলে পাখিদের জন্যই রেখে দেন।
নূরজাহান আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১০ বছরে অনেক প্রজাতির পাখি আসতে দেখেছি। কাক, চড়ুই তো খুবই কমন। আজকাল পাখি তেমন আসে না। আমাদের একটা পেয়ারা গাছ আছে, সেখানে একজোড়া কাক এসে বসত, সেই কাকগুলোকেও অনেকদিন আসতে দেখি না।”
ঢাকায় এখন পাখির সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন নূরজাহান আক্তার। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেও চড়ুই এসে ঘরের ভেতর উৎপাত করে যেত। টিয়া আসত ছাদের উঠোনে। আমি কয়েক দিন ধরে টিয়াদের জন্য খাবার দিয়েছি, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে টিয়ারা আর আসছে না।”
যেখানে গাছপালা একটু বেশি, সেখানে পাখিদেরও আনাগোনা বেশি হয়। বেইলি রোড এখন নগরীর ব্যস্ততম এলাকার একটি। এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বড় বড় দালান, যেন দাঁড়ানোর জায়গাটিও নেই। কিন্তু বেইলি রোডেই অন্যরকম দৃশ্য দেখা যায় ৭ নম্বর বাড়িতে গেলে। এই বাড়ির একটি ভবন আইনবিদ, রাজনীতিবিদ কামাল হোসেনের।
ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ভেতরের একটি দোতলা ভবনে রয়েছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ধ্বণিচিত্রের অফিস। সেই অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখা গেল, চারদিকে বড় বড় আম গাছ। গত জ্যোষ্ঠ মাসেও এসব গাছে পাকা আম নিয়ে পাখিদের কলরবে মুখর ছিল বাড়িটির চারপাশ। বাড়িটির বড় বড় গাছে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বসবাস। এখানে আসলে মনেই হবে না ঢাকায় পাখির সংখ্যা কমেছে।
কী বলছেন গবেষকরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধীনে ২০১৩ সাল থেকে ঢাকার পাখি নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। গবেষক দলে আছেন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান।
এখন বর্ষাকাল হওয়ার কারণে পাখি কম দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, “শীতকালে মূলত বোঝা যাবে পাখি কমেছে কি না? তবে আগের দশকের সঙ্গে তুলনায় করলে মানতে হবে রাজধানীতে পাখি কমেছে। খাদ্যের সংস্থান না থাকার কারণেই পাখিরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে।”
রাজধানীতে কাক, চিল কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক জামান বলেন, “কাকের সংখ্যা কমেছে, এটা সত্য। চিলের সংখ্যাও কমে গেছে। কাক আর চিল এখন চলে গেছে যেসব জায়গায় ময়লা ফেলা হয়, সেসব জায়গায়। এখন তো নগরীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গাগুলোও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। ফলে সব জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে না। কাক তো ময়লা থেকেই খাবার সংগ্রহ করে। আগে যেমন যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা হত। এখন কিন্তু সেটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত জায়গায় ফেলা হচ্ছে। যার ফলে কাক, চিল সব জায়গায় খাবার পায় না। তারা এখন খাবারের সন্ধানে চলে গেছে ময়লার ডাম্পিং এলাকাগুলোতে। ঢাকার আশেপাশের যেসব ময়লার যেসব ডাম্পিংয়ের জায়গা রয়েছে, সেখানে কিন্তু শত শত কাক দেখা যায়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চিল রয়েছে জানিয়ে ফিরোজ জামান বলেন, “ক্যাম্পাসে এখনও অনেক গাছ আছে, যার জন্য এখানে অনেক প্রজাতির পাখিই আছে, চিলও আছে। বর্ষকাল হওয়ার কারণে এখন একটু কম দেখা যাচ্ছে।”
চড়ুই পাখি দেখা না যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চড়ুই পাখি তো শস্য খায়। শহরে উন্মুক্ত জায়গায় তো এখন আর কেউ শস্য চাষ করে না। কেউ কেউ ছাদবাগান করছে, সেখানে কিন্তু কিছু চড়ুই দেখা যায়। তবে খাবার না পেয়ে অনেক চড়ুই, দোয়েল মারাও যাচ্ছে। শহরে খাবারের সংকটের কারণে পাখিগুলো আশেপাশের পল্লী এলাকায় চলে যাচ্ছে।”
বাংলাদেশে পাখি নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়নি বলে মনে করেন পাখি বিশারদ ইনাম আল হক। ফলে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
ইনাম আল হক বলেন, “ঢাকার পাখি নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে হলে বড় পরিসরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে হবে। তবে আমি ধারণা করি, ঢাকা শহরে কোনো কোনো প্রজাতির পাখি বেড়েছে, আবার কোনো কোনো প্রজাতির পাখি কমেছে। যেমন জলচর পাখি কমেছে, এখন দেশে আড়াইশ’র মতো জলচর পাখি আছে। সারা দেশে ৭২০ প্রজাতির পাখি আছে। আবার আমাদের যেমন ১২ প্রজাতির মাছরাঙা রয়েছে। সেটাকে অন্যান্য কিছু দেশে কিন্তু পাখি প্রজাতি মনে করে না। আমরা কিন্তু এটাকে পাখি প্রজাতি বলছি। ফলে স্পষ্ট করে মন্তব্য করতে হলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা লাগবে। সেটা আমাদের দেশে কখনোই হয়নি।”
গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল এবং টাকার অভাব উল্লেখ করে ইনাম আল হক বলেন, “এ ধরণের কাজে কেউ সহযোগিতা করতে আসে না। আর গবেষণাও তো সময় সাপেক্ষ। বছরের পর বছর গবেষণার কাজটি করতে হবে।”
ঢাকায় এখন শামুক ভাঙা, কাক, শালিক, চিল বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “খাবারের সন্ধানে এসব পাখি তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। মূলত গাছ এবং পর্যাপ্ত খাবার যেখানে বেশি সেখানেই পাখি বেশি দেখা যায়। ঢাকার বিভিন্ন বর্জ্য রাখার স্থানে হাজার হাজার কাক, চিল রয়েছে।”
সারা পৃথিবীতেই নগরায়নের ফলে পাখি কমেছে উল্লেখ করে ইনাম আল হক বলেন, “এখন তো বিশ্বজুড়ে নগরায়নের বিকাশ ঘটেছে, সে হিসেবে ঢাকা শহরেও পাখি কমেছে। তবে কিছু প্রজাতির পাখি আবার বেড়েছেও। এসবই আমাদের ছোট ছোট কিছু গবেষণার ধারণা মাত্র। বড় পরিসরে গবেষণা আমাদের এখানে হয়নি।”
গ্রামের তুলনায় এখন শহরে শঙ্খচিল বেড়েছে জানিয়ে ইনাম আল হক বলেন, “গ্রামে পুকুর, নালা থেকে খাবার সংগ্রহ করতো শঙ্খচিল। এখন গ্রামে পুকুরগুলো নিয়ন্ত্রিত, সেখানে মাছের চাষ হয় এবং পাখি যেন মাছ খেতে না পারে তার জন্য নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এজন্য শঙ্খচিল এখন শহরে বেড়েছে। ঢাকা শহরে অনেক শঙ্খচিল আছে, চিল আছে। বিভিন্ন বর্জ্য স্তূপ থেকে তারা খাবার সংগ্রহ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অনেক চিল আছে।”
কত প্রজাতির পাখি আছে ঢাকায়?
উত্তরা, দিয়াবাড়ি, মোহাম্মদপুর বছিলা, বনশ্রী-আফতাবনগর, বলধা গার্ডেন, যাত্রাবাড়ি এলাকাগুলোসহ ঢাকার নগরাঞ্চলে বিগত এক যুগ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধীনে গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক ফিরোজ জামান।
তিনি বলেন বলেন, “ঢাকা ও নগরাঞ্চল মিলিয়ে আমরা ১৮০ প্রজাতির পাখির সন্ধান পেয়েছি। এছাড়া অতিথি পাখিও বিভিন্ন মৌসুমে আসে, সেগুলো হিসেবে নিলে সংখ্যাটি আরও বেশি।”
ঢাকার কিছু এলাকায় পাখিদের কলোনি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রমনা পার্ক, প্রধান বিচারপতির বাসা, মিন্টো রোড, ইস্কাটন এলাকায় কিছু পাখির কলোনি আছে। পানকৌড়ি, বক, চিলের কলোনিও আছে এসব জায়গায়। এরা এখানে ডিম পাড়ে, বাচ্চা হয়।
“এই এলাকাগুলোতে কিছু উঁচু গাছ আছে বলেই পাখিদের এসব কলোনি গড়ে উঠেছে। তাছাড়া মানুষের বসতি কম হওয়ার কারণে এখানেই পাখিরা নিজেদের নিরাপদ মনে করে, ফলে এখানে তারা বাসা বানিয়েছে। দূরে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করে এখানে নিয়ে আসে।”
কেমন ছিল নগর ঢাকা?
ঢাকার পল্টন এলাকায় শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এই মানুষটি নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বললেন, “পঞ্চাশের ও ষাটের দশকে সেগুনবাগিচা থেকে পল্টন এলাকা পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটা দালান ছিল। চারদিকে প্রচুর গাছ ছিল। পল্টন থেকে আমরা দৌড়ে সেগুনবাগিচায় গিয়ে প্রজাপতি ধরতাম, রাতের বেলা শেয়ালের ডাকও শোনা যেত। পল্টনের দিকে খাল ছিল, সেই খাল পেরিয়ে স্কুলে গিয়েছি। পল্টন থেকে হেঁটে মতিঝিল যেতাম, ওদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেতাম। চারদিকে প্রচুর গাছ আর পাখি ছিল।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, “নতুন প্রজন্মের কাছে হয়ত কথাগুলো রূপকথা মনে হতে পারে। কারণ মাত্র কয়েক দশকেই পাল্টে গেছে ঢাকা শহর। যে জায়গায় প্রজাপতির পেছনে ছুটতো কিশোর বালকের দল। সেইখানে এখন বড় বড় দালান। এক সময় রাজধানী ঢাকা শহর ছিল জলা, বনজঙ্গল আর তৃণভূমির সমন্বয়ে গঠিত প্রাকৃতিক প্রশান্তির ছায়া। শহরের বর্তমান ব্যস্ত এলাকাগুলোতেও তখন ছিল পাখিসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর অবাধ বিচরণ।”