কনট্রাক্ট ফার্মিং: খামারির কী লাভ থাকছে?

মুরগির খামারিরা বড় কোম্পানির সঙ্গে জিম্মি হয়ে পড়ার অভিযোগ করছেন। তা সমর্থন করছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার নোবেলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2023, 07:11 PM
Updated : 26 Feb 2023, 07:11 PM

পোল্ট্রি খাতে ‘কনট্রাক্ট ফার্মিং’ নামে চুক্তিভিত্তিক একটি ব্যবস্থা গড়ে উঠছে যেখানে খামারিদের বাচ্চা, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান। মুরগির বাচ্চা বড় করার পর বাজারের দরে সেগুলো নিয়ে যায় কোম্পানিগুলো। কোম্পানি যে দর দেয়, বাজারদর নির্ধারণেও তার প্রভাব দেখা যায়।

এ ক্ষেত্রে খামারির খরচ হল শেড তৈরির ব্যয়, পানি, বিদ্যুৎ আর শ্রমিকের খরচ বা নিজের পরিশ্রম। কিন্তু এই ব্যয় হিসাবে না ধরেই কোম্পানি উৎপাদন খরচ ঠিক করে তা ভাগাভাগি করে।

বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে দেড় লাখের মতো মুরগির খামার থাকার তথ্য বিভিন্ন পরিসংখ্যানে পাওয়া যায়। আর এখাতে কোম্পানি রয়েছে আড়াই ডজনের মতো।

কী পরিমাণ খামারের সঙ্গে চুক্তি আছে, তা বলতে চায় না কোনো কোম্পানি। নানা জটিলতায় অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেলেও চুক্তিভিত্তিক খামারগুলো চালু আছে কি না, তা নিয়েও কিছু বলছে না কোম্পানিগুলো।

পাঁচ বছর আগে কিছু কোম্পানি এইভাবে ব্যবসা শুরু করেছিল জানিয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ধারণা দেন, ৫ হাজার খামার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে রয়েছে।

বন্ধ হয়েছে কতটি- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সেই প্রশ্নে তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে না পারলেও বলেন, “এসব ফার্ম কিন্তু কখনও বন্ধ থাকে না, বন্ধ হয় সাধারণ খামারিরটি,”

খামারির জন্য এই ব্যবস্থাটা উপকারী নাকি তাদের জন্য চাপ তৈরি করছে, এই প্রশ্নে খামারি আর কোম্পানির কর্মীদের কাছে পাওয়া গেছে বিপরীত বক্তব্য।

ঝিনাইদহের খামারি মাহমুদুল হাসান আকাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন ফিড-বাচ্চা-ওষুধের দাম বেড়ে যায়, তখন কোম্পানি এসে বলে, ‘আপনারা আমাদের বাচ্চা পেলে দেন, মুরগি উঠিয়ে নেয়ার ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা কেজিপ্রতি ১২ বা ১৪ শতাংশ টাকা আপনাদের দিব’। ফিডের দাম বেশি বলে খামারি তখন তাদের সঙ্গে চুক্তিতে যায়।”

এভাবে মুরগি তুলে লাভ না কি নিজে নিজে করলে বেশি মুনাফা- এমন প্রশ্নে রংপুরের এক খামারি বললেন, চুক্তিতে যাওয়ার পর লোকসান গুনে তিনি খামারই বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের এক স্বজনের কথা ভেবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ রাখেন তিনি। কারণ সেই স্বজনের শেডে এখনও একটি কোম্পানির মুরগি রয়েছে।

সেই খামারি বলেন, “কাজী ফার্মসের অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি আমার খামারে মুরগি উঠাই। তারাই আমার জায়গা দেখে যায়, রাস্তা দেখে যায়। প্রথম দফায় লাভ দেয় ৪০ হাজার টাকা। পরের দফায় ২৮ হাজার, পরের দফায় দেয় ২২ হাজার। এভাবে দিন দিন লাভ কমতেই থাকে।

“জিজ্ঞেস করি- লাভ কেন কম দেন? তারা আমাকে খাবারের দাম বাড়ার ইস্যু দেখায়। এখন খাবার আর বাচ্চা সবই তো তাদের। লসটা শুধু আমার ঘাড়ে দিয়ে যাচ্ছে। একদিন আমার খামার থেকে মুরগি নিয়ে যাওয়া সময় রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ল, বেশিরভাগ মুরগি মারা গেল। আমি আর কিছুই পাইনি। খামার বন্ধ, একেবারেই সব হারানোর অবস্থা।”

কন্ট্রাক্ট ফার্মিং কী?- এই ব্যবস্থায় বড় কোম্পানি খাবার ও বাচ্চা সরবরাহ করে, ক্ষেত্র বিশেষে ওষুধও দেয়। সেই মুরগি বড় হলে কোম্পানির কাছেই বিক্রি করতে হয় খামারিকে। তাতে লাভের অংশ কোম্পানির পকেটে যায়, খামারি পান ‘গ্রোয়িং চার্জ’, অর্থাৎ বাচ্চা বড় করা বাবদ মজুরি। কাজী ফার্মসের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু কাওসার মো. সালেহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধরুন খামারির একটা শেড আছে, আমরা বাচ্চা দেব, খাদ্য দিব, ওষুধ দেব। খামারি মুরগিগুলো বড় করবেন। এরপর বাচ্চা বড় হলে আমরা মুরগিগুলো একটা নির্দিষ্ট দামে নিয়ে নেব। বাচ্চা বড় করার বিনিময়ে তারা কেজি প্রতি একটা গ্রোয়িং চার্জ পাবেন। আপনি এক হাজার মুরগি পাললে- সেখানে একটা নিয়মের ভিত্তিতে কেজি প্রতি একটা গ্রোয়িং চার্জ পেয়ে যাবেন।”

কোম্পানির পরিচালন ব্যয়ও খামারির কাঁধে

কোম্পানি-খামারি একটি চুক্তিপত্রের নথি দেখেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। তাতে দেখা যায়, খামার মালিক নিজ দায়িত্বে শেড তৈরি করবেন। বিদ্যুৎ-পানির ব্যবস্থা, খাবার রাখার গুদাম, খামারে চলার জন্য পর্যাপ্ত রাস্তার ব্যবস্থাও করবেন তিনি। বাচ্চার যত্ন, পরিচর্যা ও তদারকিও তার দায়িত্ব।

অন্যদিকে কোম্পানি খামারিকে দেবে বাচ্চা, খাবার, ওষুধ ও জীবাণুনাশক।

লভ্যাংশ বণ্টনের ক্ষেত্রে যে ‘সূত্র’, তাতে কোম্পানির সব খরচের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও খামারির পানি বিদ্যুৎ, তুষ আর শ্রমিকের খরচ ধরা হয়নি। খামারির জন্য কেজিপ্রতি একটি ‘পেমেন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

যেখানে প্রতি কেজি খাদ্য ও বাচ্চার ‘আদর্শ দাম’ এমনকি বাচ্চাপ্রতি কোম্পানির ‘পরিচালন ব্যয়’ও ধরা হয়েছে। ওষুধের দাম বাজারমূল্যের চেয়ে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ বেশি হবে, এটাও উল্লেখ আছে।

৩৫ দিনের মধ্যে দুই কেজি করতে খাবারের অনুপাত কত হবে, তাও চুক্তিপত্রে থাকে। শতকরা চার শতাংশ মুরগি মারা যেতে পারে বলেও ধরে নেওয়া হয় এতে।

সেই চুক্তিতে লেখা আছে, প্রতি কেজি মুরগিতে খামারি পাবেন ১২ টাকা। তার শ্রম, পানি-বিদ্যুৎ আর তুষের ব্যয় এখান থেকেই মেটাতে হবে।

এই ১২ টাকা তিনি পাবেন যদি উৎপাদন খরচ ৮৮ টাকা হয়। এই ‘আদর্শ উৎপাদন খরচ’ বেড়ে গেলে বাড়তি দরের অর্ধেক দেবে কোম্পানি, অর্ধেক কেটে নেওয়া হবে খামারির কমিশন থেকে।

খবর নিয়ে জানা যায়, চুক্তির আগে ‘নিরাপত্তা জামানত’ হিসেবে খামারির জমির দলিল বা ব্যাংকের খালি চেক বই নিয়ে নেন কোম্পানির প্রতিনিধি।

ঝিনাইদহের খামারি আকাশ বলেন, “খামারি তো এত বোঝে না। যে খামারিরাই চুক্তিতে গেছে, তারাই নিঃস্ব হয়ে গেছে। ১২-১৪ শতাংশ তো পায়ই নাই। বরং ব্ল্যাংক চেক, জমির দলিল এগুলো দিয়ে নানা ঝামেলায় আছে।”

তাহলে কেন চুক্তিতে যাচ্ছেন খামারি?

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর আলাউদ্দিন আল আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মনে করেন খামারির শেড আছে, কিন্তু মূলধন নাই। তিনি হয়ত ডিলারের কাছ থেকে বাকি নিয়ে দেনায় পড়ে গেছেন। তখন নিজেকে রক্ষা করতে চুক্তিতে যান। কোম্পানির কাছ থেকে বাচ্চা-ফিড নিয়ে শেডে তোলেন। ‘বসে থাকার চেয়ে বেগার খাটা ভালো’- এমন চিন্তা করে চুক্তিতে যান।”

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রি ইকোনমি অ্যান্ড রুর‌্যাল সোশিওলোজি অনুষদের ডিন খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, এই ব্যবস্থাটি খামারিদের জন্য ভালো হয়নি। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খামারিরা যে বলছেন তারা জিম্মি হচ্ছেন, এটি তারা ঠিকঠাকই বুঝতে পেরেছেন।

“যে মার্জিনাল প্রাইস পাচ্ছেন, তাতে খামারি লাভ পাচ্ছেন না, লাভবান হচ্ছে বড় কোম্পানি। এভাবে অর্থনীতি ঠিক থাকে না। যারা আসল উৎপাদক, তাদের হাতে আর ক্ষমতা থাকছে না। বাজারও কোম্পানির হাতেই। খামারি শুধু উৎপাদন করে যাচ্ছেন।”

বসে থাকার চেয়ে বেগার খাটা ভালো- এমন চিন্তা করে খামারিরা চুক্তিতে যান।
খামারি আলাউদ্দিন আল আজাদ

খন্দকার মুস্তাফিজ বলেন, “এখানে বড় কোম্পানি সর্বোচ্চ ২৮ টি। বাচ্চা-ফিড থেকে মুরগি, সবই যদি তাদের হাতে চলে যায়, তাহলে অর্থনীতি তার যে নিয়মে চলার কথা সেভাবে আর চলবে না। এটি পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নের জন্য ভালো না। খামারির অর্থনৈতিক অব্স্থা বদলাবে, সেই সম্ভাবনা আর রইল না।”

কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যদি খামারির পুঁজি না থাকে, বিনিয়োগ ছাড়া তিনি শ্রমের বিনিময়ে মুনাফা বা মজুরি পাবেন, তাহলে এটি সহায়ক হতে পারে।

“কোম্পানি যদি আগে থেকেই বাজারমূল্য বেঁধে দেয় যে, তোমার থেকে আমি ১০০ টাকা কেজিতে নেব, কিন্তু নেওয়ার সময় যদি দেখা যায় মার্কেটে ১২০ টাকা চলছে, তখন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাজারে নিলে তিনি আরও লাভবান হতেন। এজন্য চুক্তিবদ্ধ হলে দামটা নিশ্চিত করতে হবে।”

কোম্পানির ভাষ্য

চুক্তিভিত্তিক এই ব্যবস্থার বিষয়ে কথা বলতে কাজী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিন হাসানের সঙ্গে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। পাঁচ দিন পর মোবাইল এসএমএসে তিনি জানান, কোম্পানিগুলোর সংগঠন ‘ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন’র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি তৈরি করা হচ্ছে।

বিবৃতি পেতে ১৫ ফেব্রুয়ারি আবার যোগাযোগ করলে তিনি এসএমএসে লেখেন, ‘কাজ চলছে’। বিবৃতি লেখা শেষ হয়েছে কি না, জানতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফের এসএমএস পাঠালে ২৪ ঘণ্টাতেও আসেনি জবাব।

একই প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু কাওসার মো. সালেহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রথমে গ্রোয়িং চার্জ বেশি দিই, পরে কম দিই- এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

তিনি দাবি করেন, উভয় পক্ষের লাভালাভের হিসাব কষেই চুক্তি হয়ে থাকে।

“ব্যবসার নিয়মকানুন থাকে। প্রত্যেকের একটা উইন-উইন সিচুয়েশন থাকতে হবে। কোম্পানি লস করলেও ব্যবসা হবে না, খামারি করলেও হবে না।”

তিনি বলেন, “লাভ না থাকলে কেন তারা বাচ্চা নেবে? আমরা তো কাউকে জোর করি না। লাভ হয় বলেই খামারিরা বাচ্চা নিচ্ছে, ফিড নিচ্ছে। কম সে পেতে পারে যদি মুরগির ওজন ভালো না আসে।

“এখানে তাদের (খামারি) লসের বা জিম্মি হওয়ার কিছু নেই। তারা গ্রোয়িং চার্জ পায়। কোনো খামারি লোকসানে পড়েছে- এমন অভিযোগ করার কথা না। লোকসান হলে কোম্পানির হবে। খামারি তো কিছু কিনছেন না। কোম্পানির লাভ-লস যাই হোক, তিনি কেজিপ্রতি গ্রোয়িং চার্জ পেয়ে যাবেন।”

খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আবু কাওসার বলেন, “কাঁচামালের দাম বাড়ায় ফিডের দাম বেড়েছে। আর বারবার লস খেয়ে অনেক হ্যাচারি মালিক বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, যে কারণে বাচ্চার দাম বাড়ছে।”

লাভ না থাকলে কেন খামারিরা বাচ্চা নেবে?
কাজী ফার্মসের কর্মকর্তা আবু কাওসার মো. সালেহ

বাচ্চা ও খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “বাচ্চা যখন ১০ টাকার নিচে ছিল, ফিডের দাম কম ছিল- তখন তারা কথা বলেনি, কেউ বলেনি। লস দিয়েছি আমরা। এখন তেলের দাম, বিদ্যুতের দাম- সব বেড়ে গেছে, দাম না বাড়িয়ে কী করব? বাড়ানোর পরও তো আমরা লসে আছি, কেউ স্বস্তিতে নেই।

“দেশে ২০০টি নিবন্ধিত ফিড মিল আছে, এখন কয়টা ফিড মিল চালু? ব্যবসায় লাভ হলে তো সব কোম্পানি খোলা থাকত। মাত্র ৬০-৭০টা ফিড মিল চালু আছে।”

‘নজর রাখছে’ প্রতিযোগিতা কমিশন

চুক্তিভিত্তিক খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি আমাদের নলেজে আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টায় আছি। এ সপ্তাহে একটা পরিকল্পনা ঠিক করব।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমস্যা একদিনের না, অনেক দিন আগে থেকে চলছে। ক্রমাগতভাবে আমরা অংশীজনদের নিয়ে বসছি। আলোচনা থেকেই সমাধান আসবে।”