এতদিন তাদেরকে রপ্তানি বিল নগদায়নের দর অনুযায়ী প্রতি ডলার ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করে দেওয়া হত।
Published : 31 Oct 2022, 11:13 PM
প্রবাসে কর্মরত ‘হোয়াইট কলার’ চাকরি হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ব্যাংকার, নার্সসহ উচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের পাঠানো রেমিটেন্সের দরও ১০৭ টাকা করে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ অথোরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতদিন তাদেরকে রপ্তানি বিল নগদায়নের দর অনুযায়ী প্রতি ডলার ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করে দেওয়া হত।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এবিবি এর চেয়ারম্যান ও ব্রাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী ও সেবিকাদের আয় ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালেও এখন থেকে তারাও ওয়েজ আর্নার্সদের মত সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দর পাবেন।"
এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাতের সংগঠন দুটি।
বৈঠকে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত এসব পেশাজীবীর এবং প্রবাসে কর্মরত শ্রমিকদের (ওয়েজ আর্নার) পাঠানো রেমিটেন্সের বিনিময় হারের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ‘হোয়াইট কলার’ পেশাজীবীরা রপ্তানি বিল হারে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করে পেতেন।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী তারাও ওয়েজ আর্নার হিসেবে প্রবাসীদের মত রেমিট্যান্স দর পাওয়ার কথা।
বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাফেদার উপর ছেড়ে দেওয়ার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর তাদের রপ্তানি বিলের বিনিময় হার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবিবি চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ জানান, তখন শুধু প্রবাসীদের এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে পাঠানোতে রেমিটেন্সে ১০৭ টাকা করে দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রেমিটেন্সে কমলো, রপ্তানিতে বাড়ল ডলারের দর
“কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের এক্সচেঞ্জ হাউজ বিদেশে খোলার জন্য সহজতর করে দিয়েছে। রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য বিদেশে প্রচার-প্রচারণা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি কিছু মাশুল ছাড় দেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়েও আলাপ হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
রিজার্ভ থেকে ডলারের সহায়তা বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য ডলার সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এসব এলসির বড় অংশই সরকারি ব্যাংকগুলোতে খোলা হয় বলে মূলত এই সাপোর্টটা এসব ব্যাংকই পাচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।“