ঋণমান কমানোর পেছনে ‘ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ থাকতে পারে, বলছেন রউফ তালুকদার।
Published : 19 Jun 2023, 01:45 AM
বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদের সার্বভৌম ঋণ মান কমানোর পর দেশের ৬টি বেসরকারি ব্যাংকের রেটিংও একধাপ কমিয়েছে আন্তর্জাতিক রেটিং প্রদানকারী সংস্থা মুডি’স ইনভেস্টরস সার্ভিস।
এতে ব্যাংকগুলোর ব্যবসায়িক সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য কমার কথা ব্যাংকাররা বললেও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তা আমলে নিতে নারাজ।
তিনি বললেন, “এই রেটিং কমানোর বিষয়ে আমাদের বিশেষ কিছু আসে যায় না। এটা করার পেছনে ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।”
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন রউফ।
ছয় মাস আগে শুরু করা পর্যালোচনার তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি মুডি’স বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে; আগের বিএ৩ থেকে কমিয়ে বি১ করা হয়েছে।
মুডি’স রেটিংয়ে ঋণমান কমল বাংলাদেশের
মুডি’স রেটিংয়ে অবনমনে কী প্রভাব অর্থনীতিতে?
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এই কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার যেখানে হবে, সেখানেই খরচ বেড়ে যাবে। ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরও বেশি সুদ গুনতে হতে পারে।
গভর্নর বলেন, “মুডি ২০১২ সালে আমাদের রেটিংটা দিয়েছিল। ২০১২ সালে আমাদের রিজার্ভ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। তখন আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কত ছিল? আমদানি-রপ্তানি কেমন ছিল?
“কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বেড়েছিল, তখন তারা রেটিং পরিবর্তন করেনি। গত ১৩ বছর ধরে তারা রেটিং একই জায়গায় রাখল। এখন তারা ডাউন গ্রেড করল।”
“আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যাপার। সম্পূর্ণ একটি জিও-পলিটিক্যাল ব্যপার স্যাপার,” বলেন তিনি।
ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্যের বিষয়টি স্পষ্ট করতে সাংবাদিকরা গভর্নরকে বললে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে আর বিস্তারিত না বলাই ভালো।”