ডলারের বিনিয়ম হার আগামী জানুয়ারিতে আরও স্থিতিশীল হবে, বলেছেন আহসান মনসুর।
Published : 11 Nov 2024, 09:50 PM
ঋণপত্র বা এলসি খুললেও সময় মত অর্থ পরিশোধ না করলে সেই ব্যাংকে এলসি খোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
সোমবার ১৭ টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। সভার পরে বিষয়টি সাংবাদিকদেরকে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
তিনি বলেন, “ব্যাংকগুলো বাইরের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এলসি খোলার পর পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অনেক ব্যাংক এলসি খোলার পরেও দেরিতে পেমেন্ট করছে। সেটা না করার আহ্বান জানিয়েছেন গভর্নর।”
দেন এমন দেরি হচ্ছে, সে বিষয়ে অবশ্য সভা শেষে কিছু জানানো হয়নি।
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রুপালী, অগ্রণী ও জনতা এবং ১৩ টি বেসরকারি ব্যাংক ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, সিটি, ঢাকা, ডাচ বাংলা, ইস্টার্ন, পূবালী, মার্কেন্টাইল, প্রাইম, এনসিসি, প্রিমিয়ার, যমুনা ও সাউথইস্টের এমডিরা এতে অংশ নেন।
সভায় ডলারের সরবরাহ নিয়েও আলোচনা হয়। ডলার বাজার ও দর নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে কি না, এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর এমডিদের কাছে জানতে চান আহসান মনসুর।
হোসনে আরার ভাষ্য, “গভর্নর বলেছেন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ডলার দর আরও বেশি স্থিতিশীল হবে। এখনও ডলার দর ও বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, তবে জানুয়ারিতে এটা আরও বেশি স্থিতিশীল হবে বলে তিনি (গভর্নর) মনে করেন।”
ডলার বাজারে কোনো কারসাজি করা যাবে না বলেও সভায় সাফ জানিয়ে দেন গভর্নর। জানান, প্রত্যেকটা ব্যাংক একটি সুনির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ডলার নিজেদের কাছে রাখতে পারে।
হুসনে আরা শিখা বলেন, “কোনো ব্যাংক যদি নির্ধারিত সীমার চাইতে বেশি পরিমাণে ডলার ধরে না রেখে সে বিষয়েও সতর্কতা দিয়েছেন। জমা করে পরে বেশি দামে বিক্রি করে যেন কোনো ব্যাংক লাভ না করে সে বিষয়টির কথা উল্লেখ করেছেন।
“কেউ কেউ ডলার কিনে ইউরোতে ট্রান্সফার করছে বা অন্য কারেন্সিতে কনভার্ট করছে; লাভের জন্য যেন তাও না করা হয় সে বিষয়ে গভর্নর সতর্ক করে দিয়েছেন।”
এমডিরা গভর্নরকে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। কারণ হিসেবে বলেন, ক্রেডিট কার্ডের পেছনে তাদের অনেক খরচ রয়েছে।
গভর্নর এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন।