“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গেল আটমাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।"
Published : 18 Mar 2025, 03:09 PM
বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ’ নিয়ে দেশটির গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের 'কোনো সমস্যা হবে না' বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না।"
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিনের দুভার্গ্যজনক নির্যাতন, হত্যা ও নিপীড়নের ঘটনা মার্কিন সরকার এবং ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের একটা বড় উদ্বেগের জায়গা।”
গ্যাবার্ডের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ‘গভীর উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের ভাষ্য, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গেল আটমাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।"
ভুলক্রুটি থাকলেও সার্বিক অবস্থাকে ‘সন্তোষজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অর্থনীতির দুরাবস্থার বার্তাই দিচ্ছিলেন উপদেষ্টা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় খুব একটা সফল না হলে মার্চ এপ্রিলের দিকে সুফল আসবে বলে ধারণা দিচ্ছিলেন।
সালেহউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের দিকে অনেকেই তাকিয়ে আছে। কিছু ভুল-ত্রুটি থাকলেও অবস্থা সন্তোষজনক।”
২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও সরকারের প্রচেষ্টায় ত্রুটি নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকায় প্রবেশ বা এলডিসি উত্তরণ গৌরবের। ২০২৬ সালেই এলডিসি উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মাঝে কোন সমস্যা হলে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
এপ্রিলের জন্য দুই কার্গো এলএনজি
এদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এপ্রিলের ২ তারিখ ও ১২ তারিখের জন্য দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিসের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ২২ ডলারে এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে অপর কার্গোটি ১৪ দশমিক ৪৮ ডলারে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৯ দশমিক ৫৫ ডলার।
টিসিবির জন্য ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিলিটার ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা দরে কেনা হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার লিটার রাইস ব্রান তেল।