বরেন্দ্রর খরাপীড়িত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ১৮ সংস্থার সঙ্গে পিকেএসএফের চুক্তি

নওগাঁ, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খরাপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য পানির সংস্থান, ফসল বিন্যাস, ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণের মত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 09:46 AM
Updated : 13 March 2024, 09:46 AM

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় বরেন্দ্র অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়াতে স্থানীয় ১৮টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন- পিকেএসএফ।

এর আওতায় নওগাঁ, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খরাপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য পানির সংস্থান, ফসল বিন্যাস, ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণের মত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে বুধবার সকালে ওই চুক্তি সই হয়; ১৮টি সংস্থার সমন্বয়কারী হিসেবে ‘প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা (আইই)’ পিকেএসএফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।

অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার ও ১৮ সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

‘এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-ড্রট (ইসিসিসিপি-ড্রট)’ নামের এই প্রকল্পের প্রধান কাজ হবে- বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়ানো, তাদের দৈনন্দিন কাজে জলবায়ু পরিবর্তনকে সমন্বিত করা, ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ম্যানেজড অ্যাকুইফার রিচার্জ সিস্টেম’ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা, পুকুর পুনঃখনন, খাল/খাড়ি পুনঃখনন এবং পুকুরভিত্তিক ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবস্থা করা।

এছাড়া খরা অভিযোজিত ফসল বিন্যাস ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপণ করা হবে প্রকল্পের আওতায়।

পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ বলেন, প্রকল্পটি বরেন্দ্র এলাকার জেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। মূল উদ্দেশ্য হল সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলের খরাপ্রবণ জনগোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় সহনশীলতা বাড়ানো।

পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার বলেন, “যথাযথ কাজে প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে উপকারভোগী সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীও রয়েছে, তারাও যেন গুরুত্বের সঙ্গে উপকারভোগী হতে পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।”

পিকেএসএফের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিটি পয়সার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। চুক্তির নির্ধারিত কাজের মধ্যে থেকে অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং সাধারণের উপকারে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে প্রতিটি কাজ করতে হবে।”

প্রতিটি সহযোগী সংস্থার মুখপাত্র কাজের অগ্রগতি জানাবে পিকেএসএফ-কে। প্রকল্প বাস্তবায়নে পিকেএসএফ-কে অর্থায়ন করছে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)।

জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের আওতায় জিসিএফ গঠিত হয়। গত বছর জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে জিসিএফের ৩৬তম পর্ষদ সভায় ‘এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেইঞ্জ-ড্রট’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন-

Also Read: জলবায়ু পরিবর্তন: দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮ কোটি ডলার পাচ্ছে পিকেএসএফ

Also Read: গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ পেতে ‘দরকার নিজেদের সক্ষমতা’

Also Read: ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে দ্রুত অর্থ পেতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সাবের হোসেন