এ তহবিলে এ পর্যন্ত ১৯টি দেশ ৭৯ কোটি ২০ লাখ ডলার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জানান তিনি।
Published : 21 Dec 2023, 11:14 PM
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে দ্রুত অর্থ পেতে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ তহবিলের অর্থ ব্যবহারে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ‘২৮তম জলবায়ু সম্মেলন: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের।
এবারের জাতিসংঘের কনফারেন্স অব পার্টিজ (কপ-২৮) সম্মেলনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ নামে জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিলে এ পর্যন্ত ১৯টি দেশ মোট ৭৯ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রদানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান সাবের হোসেন।
তিনি বলেন, এ তহবিল ভবিষ্যতে বাড়বে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, এবারের কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের চেষ্টায় এবার ‘ইউএই ফ্রেমওয়ার্ক ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট রেজিলেন্স’ গ্রহণ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল প্রভাব, ঝুঁকি এবং দুর্বলতা হ্রাস করা, সেইসাথে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম এবং সহায়তা বাড়ানো।
তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসইভাবে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে জিএসটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, এবারের সম্মেলনে জলবায়ু বিষয়ক কর্মকাণ্ডে নেতৃস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ‘ইনোভেশন ইন ডেভলভিং ফাইন্যান্স’ বিভাগে ‘জিসিএ লোকাল এডাপ্টেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে, যা স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং উদ্ভাবনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ডিএমডি ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ।
কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক তিনটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক ও পরিচালক মির্জা শওকত আলী।