জিসিএফের ৩৬তম পর্ষদ সভায় প্রকল্প দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পিকেএসএফ।
Published : 13 Jul 2023, 07:17 PM
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে আট কোটি ডলারের দু’টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন পেয়েছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৮৬৪ কোটি টাকা।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে জিসিএফের ৩৬তম পর্ষদ সভায় প্রকল্প দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পিকেএসএফ।
১০ থেকে ১৩ জুলাই জিসিএফের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ এতে অংশ নেন।
জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের আওতায় জিসিএফ গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জিসিএফ বৈঠকসহ সব কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নেওয়ার জন্য পিকেএসএফ অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।
পিকেএসএফ জানায়, আট কোটি ডলারের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ডলার তহবিল পেয়েছে ‘রেজিলিয়েন্ট হোমস্টিড অ্যান্ড লাইভলিহুড সাপোর্ট টু দ্য ভালনারেবল কোস্টাল পিপল অফ বাংলাদেশ’ প্রকল্প।
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠির জন্য অভিঘাত সহনশীল আবাসন নির্মাণে সহায়তা দেওয়া হবে।
দেশের উপকূলীয় সাত জেলার প্রায় চার লাখ মানুষের সহনশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পাঁচ বছর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় জলবায়ুসহিষ্ণু আবাসন নির্মাণ, লবণাক্ততাসহিষ্ণু জীবিকায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করা হবে।
অপর প্রকল্পটি হচ্ছে ‘এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-ড্রট’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলার। প্রকল্পটির মাধ্যমে খরাপ্রবণ অঞ্চলের মানুষের অভিযোজন সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করা হবে।
পিকেএসএফ জানিয়েছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খরাপ্রবণ তিন জেলার দুই লাখের বেশি মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, পুকুর ও খাল পুনর্খনন, খরাসহিষ্ণু শস্যবিন্যাস অনুসরণ ও উপযুক্ত শস্যের জাত বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এর আগে জিসিএফের অর্থায়নে বাংলাদেশে দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পিকেএসএফ।