সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে।
Published : 28 Jul 2024, 11:07 PM
রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে একই সময়ে রাজস্ব আহরণে ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এনবিআরের সাময়িক পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। সে হিসাবে আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।
রোববার এনবিআরের রাজস্ব নিয়ে পর্যালোচনা সভায় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের সাময়িক হিসাব চূড়ান্ত করা হয়।
এ বিষয়ে সংস্থার গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুবিভাগের মহাপরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পর্যালোচনা সভায় দেখা গেছে তিন লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণের তথ্য এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।”
সাময়িক এ হিসাবে দেখা যায়, রাজস্ব আহরণ বাড়লেও তা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা কম; শতকরা হিসাবে তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও পরে সংশোধন করে চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়।
এনবিআরের সাময়িক হিসাব বলছে, গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ খাতে এক লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ২৫ কোটি টাকা।
এ সময়ে ভ্যাটে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৫১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। ঘাটতির বিবেচনায় সবচেয়ে কম ঘাটতি রয়েছে এ খাতে।
অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) আগের বকেয়া মূসক বকেয়ার ৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করায় এ খাতে আহরণ বেড়েছে। এ সময় অর্থবছরে এ খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে আহরণ হয়েছে এক লাখ ৮১৯ কোটি টাকা। বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
আইএমএফেরও লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে টানাপড়েরন মধ্যে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হলেও আন্তর্জাতি মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সংস্কার কার্যক্রমের শর্ত অনুযায়ী গত অর্থবছরে আহরণ করার কথা ছিল ৪ লাখ ৫০০ কোটি টাকা। সাময়িক হিসাবের তথ্য বলছে, এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থেকে বেশ পিছিয়ে ছিল রাজস্ব আহরণ।
আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর-জিডিপির অনুপাত ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর শর্তে সম্মত হয়েছিল বাংলাদেশ।
পরের দুই ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে যথাক্রমে ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট এবং ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে।