১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ করবে চীনা কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
Published : 22 May 2014, 05:16 PM
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার তাদের দরপ্রস্তাব অনুমোদিত হয় বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে আগামী জুন মাসে এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে সরকার। তাহলে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সেতুর কাজ শুরুর আশা প্রকাশ করেন মুহিত।
৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর কাজ চার বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে মুহিত জানান, বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে জটিলতার কারণে কাজ চার বছর পিছিয়ে যায়।
২০১১ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বর্তমান অঙ্ক তার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি।
পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনলেও দর প্রস্তাব জমা দিয়েছিল একমাত্র চীনা এই কোম্পানিটি।
গত ২৬ জুন চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বানের পর মূল সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। চায়না মেজর ব্রিজ ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম দর প্রস্তাব করে।
গণচীনের রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং দেশটির রেল মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই কোম্পানির বার্ষিক আয় ২০০ কোটি ডলার, কর্মীর সংখ্যা ৭৫ হাজার।
১৯ মে এক অনুষ্ঠানে মূল পদ্মা সেতু নির্মাণে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২০১৩ সালে ২৬ জুন পদ্মা সেতুর কারিগরি দরপত্র আহ্বানের পর চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, ডেলিম এল অ্যান্ড টি জে ভি এবং স্যামসাং সি অ্যান্ড টি গ্রুপ দরপত্র কিনেছিল।
গত ২৪ এপ্রিল আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ দিনে একমাত্র চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড তা জমা দেয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি ঝুলে যায়।
দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে ২০১২ জানুয়ারিতে দেশের সবচেয়ে বড় এ অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় সরকার। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯১ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। জমি অধিগ্রহণ করে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।