বঙ্গবন্ধু জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।
Published : 19 Dec 2021, 03:54 PM
দেশের তরুণ সমাজকে দক্ষতা প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করা, দক্ষতার মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নের কাজকে গতিশীল করা, বিভিন্ন দেশের সাথে দক্ষতা উন্নয়নের সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং ভবিষ্যতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৩০ অক্টোবর দেশের আটটি বিভাগের প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব হয়। সেখানে ১৩টি ট্রেডে বাছাই করা ৬৬ জন বিজয়ী বঙ্গবন্ধু জাতীয় দক্ষতা প্রতযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
“চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের মধ্যে যারা ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে কাঙ্ক্ষিত স্কোর অর্জন করবেন, তারা আগামী বছরের অক্টোবরে চীনের সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত ৪৬তম ওয়ার্ল্ড স্কিলস কম্পিটিশনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।”
তার আগে চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নিয়ে ছয় মাসব্যাপী ‘গ্রুমিং সেশন’ হবে বলে জানান দুলাল কৃষ্ণ সাহা।
তিনি বলেন, “দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এখানে অনেক জনবলের প্রয়োজন। পোশাক ও চামড়া শিল্পেও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আমরা দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারছি না।”
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ‘বিকল্প নেই’ বলে মন্তব্য করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান।
বর্তমানে শুধু পোশাক খাতে ৫ থেকে ৭ লাখ বিদেশি জনবল কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে যেভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে, সেভাবে দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে না। ফলে প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশের ছেলেরা বিদেশে কাজ করছে, অথচ তারা দেশে ভালো চাকরি পাচ্ছে না।”
তাই দেশে দক্ষ জনবল তৈরি করে বিদেশি কর্মীর ওপর নির্ভরতা কমানোর মাধ্যমে দেশের টাকা সাশ্রয় সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সচেতনতামূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে এবারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সারা দেশের এক হাজার ৭০৭ জন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
চূড়ান্ত পর্ব শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিনিয়োগ ভবন মিলনায়তনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ প্রতিযোগিতার ট্রেডগুলো হল- কন্স্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডিং টেকনোলজি বিভাগে পেইন্টিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং এবং প্লাস্টারিং অ্যান্ড ড্রাই ওয়াল সিস্টেম, আইসিটি বিভাগে আইটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ওয়েব টেকনোলজিস, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সাইবার সিকিউরিটি, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি বিভাগে ওয়েল্ডিং এবং সোস্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল সার্ভিস বিভাগে বেকারি, কুকিং, পেস্ট্রি অ্যান্ড কনফেকশনারি এবং রেস্টুরেন্ট সার্ভিস।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যুগ্মসচিব নুরূল আমিন, মো. জিয়াউদ্দিন, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্ট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেট রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. আশফাক উল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।