প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ৫৫ লাখ ইউরো দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
Published : 05 Feb 2019, 07:49 PM
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে হাতে নেওয়া ‘এইচসিডিপি-২১’ কর্মসূচির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে এই সহায়তা দেবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষে রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংক মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন।
সহায়তার ২০ কোটি ৫৫ লাখ ইউরোর মধ্যে ১৫ কোটি ইউরো খরচ হবে চলমান প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) বাস্তবায়নে। আর কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের প্রশিক্ষণে ব্যয় হবে ৫ কোটি ডলার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করা, দেশব্যাপী দ্রুত শিক্ষা বিস্তার, সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করা এবং কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করা এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পিইডিপি-৪ বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষার উন্নয়নে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা), যুক্তরাজ্যের ডিএফআইডি, ইউনিসেফসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থায়ন করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইইউর এ সহায়তার অর্থ দুই ভাগে ছাড় করা হবে। ২০ কোটি ইউরো ছাড় হবে বাজেট সহায়তা হিসেবে। বাকি ৫৫ লাখ ইউরো ছাড় হবে কর্মসূচির পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিরীক্ষার জন্য।
চলমান পিইডিপি-৪ কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এক লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
এছাড়া এক লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ জন শিক্ষককে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৫৫ হাজার শিক্ষককে দেওয়া হবে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ।
এর বাইরে ১ হাজার ৭০০ শিক্ষককে এক বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ এবং ২০ হাজার শিক্ষককে এক বছর মেয়াদী প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এ কর্মসূচির আওতায়।