রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া দেড় কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে ফিলিপিন্স।
Published : 12 Nov 2016, 03:14 PM
নয় মাস পর খোয়া যাওয়া অর্থের পাঁচ ভাগের এক ভাগেরও কম অংশ ফেরত পেল বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি অর্থের কোনো হদিস এখনও মেলেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের অ্যাম্বাসেডর দেড় কোটি ডলার গ্রহণ করেছেন।
“এটার প্রসেসিং চলছে। আজ আমাদের এখানে ছুটি, কাল তো সবখানে ছুটি। সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে এটা আমাদের রিজার্ভে যোগ হবে।”
ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ আগেই জানিয়েছিলেন, একটি ক্যাসিনোর মালিক কিম অং এবং তার ইস্টার্ন হাওয়াই লেজার কোম্পানির ফেরত দেওয়া দেড় কোটি ডলার ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল।
ক্যাসিনো মালিক অং দুই দফায় অর্থ ফেরত দেন, যা তিনি দুইজন চীনা জুয়াড়ির কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফিলিপিন্সের আদালত বাংলাদেশ ব্যাংককে এই দেড় কোটি ডলারের মালিক স্বীকৃতি দিয়ে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেড় কোটি ডলার ফেরত আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ ও যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রব ফিলিপিন্স গেছেন।
“সব প্রক্রিয়া শেষে এই দুই কর্মকর্তার সঙ্গে অ্যাম্বাসেডর অর্থ গ্রহণ করেছেন।”
রোববার সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানান শুভঙ্কর সাহা।
গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়।
এর মধ্যে চারটি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে (আরসিবিসি) সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ৮১ মিলিয়ন ডলার।
আরেকটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
রিজল ব্যাংকে যাওয়া টাকার একটি বড় অংশ পরে ফিলিপিন্সের জুয়ার টেবিলে চলে যায়। তারই একটি অংশ ফেরত পাওয়া গেল।