এক টাকা ও দুই টাকার ধাতব মুদ্রার মতো পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়লেও তাদের সেই এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 15 Nov 2015, 09:18 PM
পাঁচ টাকার মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব সরকারের হাতে আসার প্রেক্ষাপটে মুহিত বলেছেন, “আই শুড উইথড্র অল দা ফাইভ টাকা কয়েনস।”
এক ও দুই টাকার মতো পাঁচ টাকা প্রচলনের দায়িত্বও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারের হাতে আনতে ‘বাংলাদেশ কয়েনেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৫’ সংসদে রোববার পাস হয়।
অর্থমন্ত্রী বিলটি উত্থাপনের পর তা জনমত-যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব তোলেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম।
তিনি বলেন, “পাঁচ টাকার কয়েনের সঙ্গে অনেক কিছু যুক্ত রয়েছে। সরকারের এর ফলে কত টাকা ক্ষতি হবে, সেটাও দেখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ টাকার কয়েন রয়েছে। তাহলে সেগুলোর কী হবে?”
মুহিত বলেন, “আজই আমি দেখলাম, পাঁচ টাকার একটি কয়েন রয়েছে। এটা ইলিগ্যাল।
“বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কয়েন বাজারে ছাড়ার ক্ষমতা নেই। তারা এক সময় এটা করেছে। তারা এটা করতে পারে না। তাদের এক টাকার কয়েন ছাড়ার ক্ষমতা রয়েছে।”
গত জানুয়ারিতে মুহিত ১ ও ২ টাকার মুদ্রা তুলে দেওয়ার কথা তুলে সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন।
পরে তিনি বলেছিলেন, “যে টাকাটা আছে বাজারে, সেটা তো আছেই। জোর করে তো সেটা তুলে দেওয়া যাবে না। মানুষ ব্যবহার না করলে সেটা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।”
বর্তমানে শুধু ১ ও ২ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা সরকার বের করে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে উপরের সব নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে পাঁচ টাকার মুদ্রা পরিচালনার দায়িত্ব সরকারের হাতে এলেও বাংলাদেশের মোট অর্থের জোগান অপরিবর্তিত (সরকারের নোট/কয়েন যতটা বাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংকের নোট/কয়েন ততটা কমবে) থাকবে বলে মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন মুহিত।
তিনি সংসদে জানান, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশে নেমে এসেছে।
৫ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলো সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর হলে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার এক দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে বলেও জানান তিনি।