এক ও দুই টাকা মূল্যমানের মুদ্রা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। সেক্ষেত্রে পাঁচ টাকার মুদ্রাই সর্বনিম্ন মূল্যমানের মুদ্রা হিসেবে বাজারে থাকবে।
Published : 18 Jan 2015, 03:27 PM
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ এক ও দুই টাকার মুদ্রা তুলে নেওয়া হবে, তা জানাননি তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ধীরে ধীরে এক-দুই টাকার মুদ্রা তুলে নেওয়া হবে। পাঁচ টাকাই হবে সর্বনিম্ন মুদ্রা।”
বাংলাদেশে বর্তমানে এক থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা মূল্যমানের মুদ্রা রয়েছে। এর মধ্যে এক ও দুই টাকার মুদ্রা বের করে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে অন্য সব নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন অর্থ মন্ত্রণালয় মুদ্রা বের করার কাজ থেকে সরে আসতে চাইছে।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মুদ্রার বাজারে এক ও দুই টাকার মুদ্রার সংখ্যা খুবই কমে এসেছে। এর আবেদন ধীরে ধীরে আরও ফুরিয়ে যাবে।
বর্তমানে এক টাকার ধাতব মুদ্রা রয়েছে বাজারে, দুই টাকার ধাতব মুদ্রা ও কাগজের নোট দুটোই বাজারে প্রচলিত।
পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা ও নোট উভয়ই রয়েছে। ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার রয়েছে শুধু কাগজের নোট।
‘ভ্যাট আইন সংশোধন’ সংক্রান্ত বৈঠকের পর এক ও দুই টাকার মুদ্রা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন ভ্যাট আইনের সংশোধন চূড়ান্ত করা হবে।
এজন্য ফেব্রুয়ারি মাসে আইএমএফ প্রতিনিধিদের ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান মুহিত।
তিনি আভাস দেন, ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে, সেখানে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে তেমন বিশেষ কোনো পরিবর্তন হবে না।
“আইএমএফেরএকটা বড় ভয় ছিল যে, ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা না আবার পরিবর্তন করা হয়। সেক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। এছাড়া টার্ন ওভার ট্যাক্স ও প্যাকেজ ভ্যাট এগুলো থাকবে।”
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে অনেক প্রস্তাব দিয়েছেন।
“এগুলোর কিছু কিছু আগামী বাজেটে সংশোধন করা হবে,” আশ্বাস দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সংশোধিত ভ্যাট আইন ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।