জিএসবির আবিষ্কার করা খনিজ সম্পদের মোট আর্থিক মূল্য ২৪৮ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি, বলেন জিএসবির এক পরিচালক।
Published : 09 May 2024, 07:23 PM
খনিজ জ্বালানিকে বর্তমান বিশ্বের উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নেও এ হাতিয়ারকে কাজে লাগাতে হবে।
বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয় পেট্রোসেন্টারে ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভূতত্ত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) আয়োজিত এ সেমিনারে নিজস্ব জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী বিশ্বের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। জ্বালানি এখন একটি হাতিয়ার। নিজেদের উন্নতি করতে এই হাতিয়ারের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, পশ্চিমারা যুদ্ধবিগ্রহ শুরু করে এখন এসে বুদ্ধি দিচ্ছেন কীভাবে অর্থনীতি চালাতে হবে। ওয়াশিংটন থেকে এসে বুদ্ধি দেয়, অনেক সময় গ্রহণ করতে হয়।
”সমগ্র বিশ্বের যে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হচ্ছে তার কোনটিই আমাদের সৃষ্ট নয়। কিন্তু ক্ষতির প্রভাব আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে।”
সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে জিএসবির পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন। নিজেরা স্বাবলম্বী না হলে স্বাধীন চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটে না। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার টেকসই ভূমি ব্যবহার, নগরায়ণ, বন্যার ঝুকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে নির্দেশনা রয়েছে তা থেকে নিজেদের কাজ বের করতে হবে।
নীল অর্থনীতি, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক ভূতত্ত্ব নিয়েও প্রচুর কাজ করার সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভূতাত্ত্বিক বিপদ, টেকসই নগর পরিকল্পনা, বাংলাদেশের টেকটোনিক বিন্যাস, জিআইএস নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, জিএসবিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। একইসঙ্গে বাপেক্সসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় থাকা দরকার। বাপেক্স যেখানে কূপ খনন করছে সেখান থেকে নমুনা নিয়ে তারা কাজ করতে পারে। এতে করে আলাদা করে কূপ খননের বাড়তি টাকার প্রয়োজন হবে না, সময়ও সাশ্রয় হবে।
জিএসবির পরিচালক আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী বলেন, জিএসবির আবিষ্কার করা খনিজ সম্পদের মোট আর্থিক মূল্য ২৪৮ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি। যমুনা নদীর বালিতে উন্নতমানের খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করা হয়েছে। এসব খনিজ উপাদানের বিষয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে।