“বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র এখনও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতিম” বলেন ক্রিস পাপাজর্জিও।
Published : 19 Dec 2024, 04:53 PM
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকে অনুমোদনের পর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় করবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে আইএমএফের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে যে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে, পাপাজর্জিও তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সফর শেষে ফেরার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, “আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠবে। সেখানে অনুমোদন পেলে অচিরেই তা বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র এখনও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি। এখন যে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি তা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকে আরো কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।”
চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ে আইএমএফের সম্মতি
পাপাজর্জিও বলেন, “বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফ ইতিবাচক। তবে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতের সংস্কার চালু রাখতে হবে।”
নতুন টাকা ছাপানোর বিষয়টিও উদ্বেগজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা হয়ত সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু এটা লম্বা সময়ের জন্য হতে পারে না।”
ঢাকা সফররত আইএমএফের প্রতিনিধি দল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চতুর্থ কিস্তিতে বাংলাদেশকে ৬৪৫ মিলিয়ন ডলার দিতে কর্মকর্তা পর্যায়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে তারা।
পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো, আর্থিক খাতের সংস্কার ও অর্থনৈতিক চাপ সামাল দিতে আগের ঋণের বাইরে নতুন করে ৭৫ কোটি ডলার দিতে সম্মতির কথা জানানো হয় সেখানে।
এ ঋণ আইএমএফের পর্ষদে অনুমোদন পেলে আগের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।