পুলিশ পরিচয়ে তারা ছিনতাই করছিলেন।
Published : 11 Apr 2024, 06:53 PM
চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা মাইক্রোবাসও।
নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে বুধবার মাইক্রোবাসটি আটকের পর গ্রেপ্তার করা হয় দুই জনকে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- ফারুক হোসেন ওরফে নাহিদ (২০) ও মো. ফজলুল (২৭)।
পুলিশের ভাষ্য, এ চক্রের সাথে আরও কয়েকজন জড়িত আছে। তারা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে ইজিবাইক টার্গেট করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চালককে তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। আর ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের ২০ নভেম্বর ডিবি পরিচয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির সন্ধান পাওয়া যায়।
“বুধবার রাতে চান্দগাঁও ওয়াপদা গলি থেকে মাইক্রোবাসসহ ফারুককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে বালুছড়া এলাকা থেকে ফজলুকে আটক করা হয়।”
ছিনতাইকারীদের কৌশল বর্ণনা করতে গিয়ে ওসি সঞ্জয় বলেন, এ চক্রের সদস্যরা মাইক্রোবাস নিয়ে বিভিন্ন সড়কে ঘুরে বেড়ানোর সময় কিশোর বয়সী ইজিবাইক চালকদের টার্গেট করে। সদস্যদের একজন যাত্রী বেশে নির্দিষ্ট দূরত্বে গাড়ি ভাড়া করে। পথে মাইক্রোবাস নিয়ে অন্যরা গিয়ে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রীবেশে থাকা চক্রের অন্য সদস্যদের মামলার আসামি বলে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। আর স্বাক্ষী হিসেবে চালককেও গাড়িতে তুলে নিয়ে অন্য এক সদস্যকে ইজিবাইকটি চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেন।
পরে চালককে বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নির্জন সড়কে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে চক্রের সদস্যরা।
ওসি সঞ্জয় বলেন, “যে অভিযোগের সূত্র ধরে চক্রটির সন্ধান পাওয়া যায়, সেটি গত বছরের ২০ নভেম্বর ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালককে বায়েজিদ বোস্তামী থানার বিএসআরএম ফ্যাক্টরির গেইট থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
চক্রের দুজনকে ধরা হলেও অন্যদের ধরতে এবং চুরি করা ইজিবাইকটি উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।