চট্টগ্রামে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা

“কানাডা চট্টগ্রামের ট্যুরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশন ভূমি বরাদ্দ দিবে,” বলেন মেয়র রেজাউল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2023, 12:00 PM
Updated : 6 Feb 2023, 12:00 PM

চট্টগ্রামে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগে কানাডার বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির হাই কমিশনার লিলি নিকোলস।

সোমবার নগরীর টাইগার পাসে অস্থায়ী নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

নগর সংস্থা জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেছেন, “স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে বাঁচাতে খাদ্য সহায়তা দেয় কানাডা। বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে কানাডা সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

“বাংলাদেশের উন্নয়নে কানাডা সবসময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এসেছে এবং বর্তমানে সাহায্যের ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে চায়। চট্টগ্রামের মেয়র কানাডার কাছে যে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সহায়তা চাইলে, কানাডা তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে।”

হাই কমিশনার লিলি নিকোলস বলেন, “কানাডা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধশালী করতে পারে কানাডা।

“এছাড়া চট্টগ্রামে ওষুধশিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কানাডার অনেক শিল্পগ্রুপ। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিশ্বসেরা প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত করার বিষয়ে অবদান রাখতে পারে কানাডা। কানাডা সৌর বিদ্যুৎ বিকাশে সহায়তার মাধ্যমে সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।”

এ সময় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম বলেন, “চট্টগ্রামকে মানুষ চেনে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষ চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক কাজে আসে। তাই পর্যটন ও বিনোদন খাত প্রসারিত হলে চট্টগ্রামের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।

“ট্যুরিজম খাতের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ওশান এমিউজম্যান্ট পার্কসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যসাধনে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমি চাই চট্টগ্রাম কেবল বাণিজ্যিক নগরীর পরিচয়ে আবদ্ধ না থেকে ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গে পরিণত হোক।  দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিনোদনপিপাসুদের কলরবে মুখর হোক চট্টগ্রাম।”

মেয়র রেজাউল বলেন, “কানাডা চট্টগ্রামের ট্যুরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশন ভূমি বরাদ্দ দিবে। এছাড়া চট্টগ্রামে একটি সবধরনের সুবিধাসম্পন্ন বৃহদাকার হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫ ০বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে।

“পাশাপাশি সিসিসি পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে কানাডা।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কানাডা হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার অ্যান্ড কাউন্সিলর অ্যাঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ, নগর সংস্থার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।