ঢাকা থেকে অপহৃত এক কিশোরীকেচ ট্টগ্রামে উদ্ধার করে র্যাব বলছে, মেয়েটিকে দুবাইয়ে পাচার করা হচ্ছিল।
ঢাকার শাহ আলী থানার একটি মামলায় শনিবার ওই কিশোরীকে উদ্ধারে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আবু সুফিয়ান রানা (৩১), তার স্ত্রী শারমিন কাউসার (২২) ও মো. নুরুজ্জামান (৫৫)।
র্যাব-৭ এর পতেঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন মানব পাচারকারী দলের সদস্য।”
শনিবার সুফিয়ান ও তার স্ত্রী শারমিনকে হালিশহর এবং নুরুজ্জামানকে হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুজ্জামানের তথ্যে সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
ওই কিশোরীকে রাজধানী থেকে অপহরণের অভিযোগ তুলে গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকার শাহআলী থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলার সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে র্যাব।
ওই কিশোরীর বড় বোনকেও ‘বিয়ে করার নামে’ প্রতারণা করে দুবাই পাচার করা হয় বলে র্যাবের ভাষ্য।
মাহফুজ বলেন, “এ চক্রের হোতা শহীদুল করিম নামে এক ব্যক্তি। তিনি এই কিশোরীর বড় বোনকে বিয়ে করে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি নাইট ক্লাবে বিক্রি করে দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।”
গত ৩ জানুয়ারি এ কিশোরী মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, শহীদুল বড় বোনের মতো ছোট বোনকেও দুবাই পাচারের জন্য অপহরণ করেছে। বিষয়টি তারা তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়।
মাহফুজ জানান, কিশোরীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনার পর ১৬ দিন সুফিয়ান ও শারমিন দম্পতির কাছে রাখা হয়েছিল। পরে নুরুজ্জামান তাকে সাতকানিয়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে দুবাই নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।