রায়ের ঘোষণার সময় এই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও চার আসামি আদালতেই ছিলেন; তাদেরও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।
Published : 25 Jul 2023, 07:59 PM
গ্রাহকের ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন; পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান।
দণ্ডিতরা হলেন- ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবির ও সামিউল সাহেদ চৌধুরী, লাবীবা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন বাপ্পী, চট্টগ্রামের খুলশীর বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান ও জুলেখা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আবদুল মাবুদ।
দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাক্ষর জাল করে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুলকে ৩১ বছরের সাজা ও ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
“আসামি জাকির ও মাহমুদুলকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি আবদুল মাবুদ ও আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা সামিউলকে ছয় বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্বাক্ষর জাল করে ও ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে আবু সাঈদ নামে এক গ্রাহকের ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল।
গ্রাহকের এফডিআর খোলার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকটি চেকেও স্বাক্ষর নেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল।
পরে ২০১৫ সালের ১৭ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ওই টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে আসামিদের হিসাবে ট্রান্সফার, অ্যাকাউন্ট পে চেক এবং নগদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর মামলা হয়। পরে দুদক মামলাটি তদন্ত করে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোসাম্মৎ মাহমুদ আক্তার ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে ওই পরের বছরের ১১ মে অভিযোগ গঠন করা হয়; মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে মঙ্গলবার আদালতের এই রায় এলো।