“নেত্রী শেখ হাসিনার সংকেত পাওয়া মাত্র আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবে,” বলছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
Published : 03 Nov 2023, 07:46 PM
‘আলবদর, রাজাকার এবং পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের’ নিশ্চিহ্ন করতে সবরকম প্রস্তুতি আছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শুক্রবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাছির বলেন, “আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শের অপেক্ষায় আছি। তার নির্দেশ পাওয়া মাত্র কোথাও আলবদর, রাজাকার এবং পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের চিহ্ন রাখব না। আমরা এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বাবু, এম এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর উত্তরসূরী।
“আমরা তাদের কাছ থেকেই দীক্ষা নিয়েছি আন্দোলন, লড়াই ও সংগ্রামের। এই তিনটি বিষয় আমাদের কাছে পবিত্র। এর পবিত্রতা আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করব। আজ যারা আন্দোলনের নামে অগ্নি সন্ত্রাস করছে তাদেরকে রুখবই। যে কোনো মূল্যে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে একাত্তরের হাতিয়ার হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত আছি।”
আ জ ম নাছির বলেন, “একাত্তর, পঁচাত্তর এবং ২০০৪ সালের ঘটনা একসূত্রে গাঁথা। এসব ঘটনার খলনায়ক এবং কুশীলব জিয়াউর রহমানসহ বংশবদদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য নেত্রী শেখ হাসিনার সংকেত পাওয়া মাত্র আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবে।”
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “মধ্যযুগীয় বর্বরতার কলঙ্ককেও হার মানিয়েছে ৩ নভেম্বরে জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি। এই ঘটনার মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান। এখন তার মরণোত্তর বিচার হলে জাতীয় চার নেতার আত্মা শান্তি পাবে।
“বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের রাজপথে মোকাবেলার শক্তি নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের চারণক্ষেত্র এবং বার আউলিয়ার পূণ্য ভূমি। এই পবিত্র ভূমিতে অসভ্য বর্বর রাজাকার আলবদরদের বংশবদদের ঠাঁই নেই।”
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম বেলায়েত হোসেন ও সফর আলী, সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী ও শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসনে, মো. আবু তাহের ও শহীদুল আলম বক্তব্য রাখেন।