গুজব আর অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে দেশবিরোধীরা: রেজাউল

“সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ- এই হোক আমাদের শপথ,” বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

ঈদকে সম্প্রীতির উৎসবে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটির মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেছেন, “এক মাস সিয়াম সাধনা আমাদের ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ভুলে সাম্যের সমাজ বিনির্মাণের শিক্ষা দেয়। শ্রেণিভেদ আর বৈষম্য ভুলে সমাজকে ঢেলে সাজানোর অনুপ্রেরণা জোগায় রমজান মাস।

“ঐতিহাসিকভাবেই ঈদুল ফিতর ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সব ধর্মের মানুষদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির উৎসব হিসেবে স্বীকৃত।”

মেয়র বলেন, “তবে উদ্বেগের বিষয় হলো একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিভিন্ন অপকৌশলে ব্যর্থ হয়ে এখন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য নানা অপকৌশল, গুজব আর অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।

“উস্কে দিচ্ছে জঙ্গিবাদ, তৈরি করছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিবেশ৷ এমনকি ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই মহতি উক্তিটিরও অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা। তারা ধর্মীয় ভেদাভেদকে সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বজ্রকঠিন ঐক্যবদ্ধ জাতিকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।”

বীর মুক্তিযোদ্ধা মেয়র রেজাউল বলেন, “এ প্রেক্ষাপটে সবার প্রতি আমার আহবান, একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যাশায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছি।

“বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কোন বিচ্যুতি যেন না আসে।”

ঈদ কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সকলের জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এই পবিত্র দিনে আমাদের সকলের উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের সাথে মিলেমিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সকলের উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সকলের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

“সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ- এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সকলে মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি।”