অটোরিকশায় অঙ্গার চালকের পরিবার পেল অটোরিকশাই

এ সহায়তা দিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো চালকের পরিবারকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের তরফে যানটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসায় মন্ত্রীর সহধর্মিণী নুরান ফাতিমা ও ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ নিহত চালক আবদুস সবুরের স্ত্রী রুমি আকতারের হাতে অটোরিকশার চাবি তুলে দেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ, সাতকানিয়া উপজেলার ৯নম্বর পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন ও নিহতের মা ও দুই শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী নুরান ফাতিমা বলেন, “সিএনজি চালক সবুরের জীবন্ত দগ্ধের খবর দেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি চিন্তা করেন নিহতের পরিবারটি বেঁচে থাকার জন্য একটা অবলম্বন প্রয়োজন।

“সেজন্য একটি নতুন সিএনজি কিনে আজকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেকোনো প্রয়োজনে পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করব আমরা।”

এনএনকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, “আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের এলাকা রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি।

“সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশার বাসিন্দা সবুরের দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। পরিবারটি আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। সেজন্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।”  

গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের মাজার পয়েন্ট ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে ভেতরেই দগ্ধ হয়ে চালক আবদুস সবুর (৩৫) মারা যান।

সবুর সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। সবুরের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

ঘটনার দিন চন্দনাইশ থানার ওসি ওবায়দুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, একটি বালুর ট্রাক অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।

সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক