আগামী বছর প্রতিবারের মত মেলা আয়োজন করা হবে বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।
Published : 14 Dec 2023, 09:08 PM
মাঠ বরাদ্দ না পাওয়া, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার চট্টগ্রামে বিজয় মেলা হচ্ছে না।
১৬ ডিসেম্বরে কেবল বিজয় শিখা প্রজ্বালন, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্যেই সীমিত থাকছে বিজয় মেলা পরিষদের আয়োজন।
পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার মেলার জন্য আমরা প্রতিবারের মত আউটার স্টেডিয়ামের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি।
“দেশে চলমান অবরোধ-হরতাল নামে নাশকতামূলক কর্মসূচির পরিস্থিতিও বিবেচনায় নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। তাছাড়া সামনে নির্বাচন।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “মাঠটি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস)। ওই সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক, তিনি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাও। যেহেতু নির্বাচনী কাজে তিনি ব্যস্ত তাই আমরা মাঠের বিষয়টি নিয়ে আর উনার কাছে যাইনি।
“এবার জানুয়ারির শুরুতে নির্বাচন হওয়ায় মেলার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই দলীয় মনোনয়ন এবং নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আছেন। সব মিলিয়ে তাই এবার পণ্যমেলা করতে পারছি না। আর ঢাকা থেকে আলোচকরাও আসতে পারছেন না ভোটের কারণে।”
আগামী বছর প্রতিবারের মত মেলা আয়োজন করা হবে বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।
চলতি বছরের শুরুতে খেলার মাঠে আর কোনো ধরনের মেলা আয়োজনে অনুমতি না দেয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউনুছ বলেন, “বিজয় মেলা আর অন্য মেলা এক বিষয় নয়। বিজয় মেলা আয়োজনের একটা প্রেক্ষাপট আছে। এই মেলা থেকেই সারাদেশে বিজয় মেলা ছড়িয়ে পড়েছিল।
“শুরুতে বিজয় মেলার অনুষ্ঠান পুরাতন সার্কিট হাউজের মাঠে হত। কিন্তু বিএনপির আমলে মীর নাছিরের নির্দেশে তা উচ্ছেদ করে আর যাতে করতে না পারি সেজন্য সেখানে শিশু পার্ক করা হয়। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে দিতে তারা এ কাজ করে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটা সংরক্ষণ করা। সম্প্রতি পার্কটি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই আমরা মেলার আয়োজনের বিষয়টি সবার সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিব।”
‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগান নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে বিজয়ের মাসে এই মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২২ সালে মেলার ৩৪ তম আয়োজন হয়েছিল।
এবার পণ্য মেলার কোনো আয়োজন নেই। তবে বিজয় মেলা পরিষদ ১৫ ডিসেম্বর এই মেলার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কর্মসূচি রেখেছে।
আর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন সকাল ১০টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের গোলচত্বরে স্থাপিত বিজয় শিখা প্রজ্বালন কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিজয় শিখা প্রজ্বালন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রধান অতিথি থাকবেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।