চট্টগ্রামের পাইকারি ওষুধের সবচেয়ে বড় বাজার হাজারি গলিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও পুলিশ এই অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রতীক দত্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুরুতে সততা ফার্মেসি, নিয়ামত শাহ ফার্মেসি ও ক্যাল ফার্মা নামের তিনটি ফার্মেসিতে ফিজিশিয়ানস স্যাম্পল পাওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ফিজিশিয়ানস স্যাম্পেলগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
এরপর অভিযান দল হাজারি গলির ‘ছবিলা কমপ্লেক্স’ এ অভিযানে গেলে সেখানকার ফার্মেসির মালিকরা দোকান বন্ধ করে মার্কেটের বাইরে সড়কে অবস্থান নেয়।
মার্কেট কমিটি, ফার্মেসি মালিক সমিতি ও স্থানীয় নেতাদের অনুরোধের পরও দোকান খুলতে অস্বীকৃতি জানান মালিকরা। এরপর কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিশের আরও সদস্য এসে অভিযানে যোগ দেয়।
তারপর ছবিলা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার একটি এবং চতুর্থ তলার আরেকটি গুদামের তালা ভাঙা হয়। ওই দুই গুদামে প্রায় ৪০ লাখ টাকার অননুমোদিত ওষুধ পাওয়া যায়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, “মূলত এগুলো বিদেশি ওষুধ (আনরেজিস্ট্রার্ড)। বাংলাদেশের বাজারে বিক্রির জন্য নিবন্ধন থাকতে হয়। এসব ওষুধের মোড়কে কোনো নিবন্ধন নম্বরও নেই। বেশিরভাগ ভারত ও থাইল্যান্ডের ওষুধ।”
অননুমোদিত ওষুধগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়।
প্রতীক দত্ত বলেন, “গোডাউনের মালিকদের পাওয়া যায়নি। তাদের সম্পর্কে খোজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”