সামন্ত লাল সেন বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাব। চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জেলারও স্বাস্থ্যসেবা যাতে আরও উন্নত হয় এ প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে।”
Published : 27 Jan 2024, 03:52 PM
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন ৩০ আইসিইউ শয্যার উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
শনিবার দুপুরে হাসপাতালের নিচতলায় নতুন আইসিইউ ওয়ার্ডে এসব ৩০টি শয্যার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এরপর তিনি হাসপাতালের নির্মাণাধীন ইমেজিং ভবন, বার্ন ইউনিটের জন্য প্রস্তাবিত জমি ও নির্মানাধীন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও কিডনি ভবন ঘুরে দেখেন।
পরে হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মন্ত্রী।
ওই সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, “চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যার আইসিউ উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলোসহ মোট ৫০ শয্যার আইসিউ এখানে রয়েছে।
“চট্টগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশে আমাকে কাজ করতে হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে এ সমস্যা (আইসিইউ শয্যা সংকট) সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি।”
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাব। চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জেলারও স্বাস্থ্যসেবা যাতে আরও উন্নত হয় এ প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে।”
২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ করার দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসা সেবাকে উন্নত করা, যাতে মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলার কোনো মানুষকে সেখানে ভালো চিকিৎসা দিতে পারি তাহলে মেডিকেলের উপর থেকে চাপ কমবে। তাই আমার লক্ষ্য হলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করা।”
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে স্থাপন হতে যাওয়া ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখেন।
এসময় তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের অনেক দগ্ধ রোগী ঢাকা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে পথিমধ্যে মারা যায়। চট্টগ্রামে স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসিউ, আধুনিক অস্ত্রোপচার কক্ষসহ সকলধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। আমরা কাজ মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি।
“চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ আছে। প্রি-একনেক মিটিংয়ে চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। প্রি-একনেক সভার পর চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে। দাতা সংস্থা চীনা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। ডিপিপি পাস হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
এর আগেও একাধিকবার এই প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন দেশের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটগুলোর জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।