তুলির আঁচড়ে বর্ণিল হয়ে ওঠে নন্দনকাননের ডিসি হিলের মূল ফটক থেকে বৌদ্ধ মন্দির মোড়।
Published : 13 Apr 2024, 11:43 PM
‘যাবার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও’ গানের সঙ্গে ঢোলের বাদ্যে শিল্পীরা যখন গানে মেতেছেন, তখন সড়কে রঙ তুলিতে আলপনা সাজিয়ে তুলছেন চিত্র শিল্পীরা।
চট্টগ্রাম নগরীর নজরুল স্কয়ার হিসেবে পরিচিত নন্দনকানন এলাকায় ডিসি হিলের মূল ফটক থেকে বৌদ্ধ মন্দির মোড় পর্যন্ত ৫০ জন চিত্র শিল্পী রঙ তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলেন আলপনা।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বর্ষবরণকে সামনে রেখে উৎসাহ নিয়েই এ কাজে নেমেছেন শিল্পীরা।
বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে ‘আলপনার রঙে নববর্ষ আবাহন’ শীর্ষক বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, চট্টগ্রাম।
গানের সুরে তুলির আঁচড়ে নববর্ষ আবাহনে অংশ নিলেন প্রবীণ ও নবীন শিল্পীরা।
গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে, মোরা প্রকৃতির মত উচ্ছ্বল, ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা-এমন সব গানের সঙ্গে চলতে থাকে আলপনা আঁকা।
সাদা, লাল, হলুদ, নীল আর সবুজ রঙে রাস্তার কালো পিচ রঙিন হয়ে উঠতে শুরু করে। অন্ধকার কাটিয়ে সকল অশুভকে পরাজিত করে যেন শুভ বোধের জয়যাত্রা শুরু হয়।
এর আগে আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে, আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে, আলো আমার আলো ভুবন ভরা গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
উদ্বোধন পর্বে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিল্পী কে এম এ কাইয়ূম, অধ্যাপক সৌমেন দাশ, মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী স্বপন আচার্য, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়সী রায় বক্তব্য দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী জাহেদ আলী চৌধুরী, প্রদ্যুৎ মজুমদার, সুকান্ত চৌধুরী, বিশ্বজিৎ তলাপত্র।
নিপ্পন পেইন্টের সৌজন্যে ৫০ জনের বেশি চিত্রশিল্পী গানে তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলেন সড়ক। রঙ নিয়ে তাতে শামিল হয় শিশুরাও।
পরিষদের আয়োজনে রোববার সকাল ৮টা থেকে এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ মাঠে বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে।
সম্মিলন পরিষদের বাংলা বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিষদের সদস্যরা পরিবেশন করবেন স্বদেশ পর্যায়ের গান, থাকবে আলোচনা সভা। এ ছাড়া দিনব্যাপী আয়োজনে অন্যান্য সংগঠন গান, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশন করবে।