বিজয়ের মাসে ‘ছোবল’ দিতে চেয়েছিল বিএনপি: নাছির

“জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষায় জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে,” বলেন তিনি। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2022, 03:39 PM
Updated : 10 Dec 2022, 03:39 PM

বিজয়ের মাসে ঢাকায় সমাবেশের নামে বিএনপি ‘ছোবল’ দিতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

তিনি বলেছেন, “বিজয়ের মাসে আবার অশুভ শক্তি ছোবল দিতে চেয়েছে। তাদেরকে জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সহযোগিতায় প্রতিরোধ করেছেন। এজন্য প্রশাসন যে ভূমিকা নিয়েছে তা জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে একটি সঠিক আনুগত্য।”

শনিবার দুপুরে বন্দরনগরীতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাছির বলেন, “ঢাকায় নয়াপল্টনে, ২০১৩ সালের মতো শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নামে নারকীয়তা সৃষ্টির পরিকল্পনাই তারা করেছিল। কিন্তু তা প্রতিরোধে আমাদের প্রশাসনের ভূমিকা অবশ্যই জাতির প্রতি যে দায়বদ্ধতা ছিল তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”

জনগণের ‘জানমাল রক্ষায়’ নগর আওয়ামী লীগ এবং এর অধীন ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড এবং ১৩২টি ইউনিটের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, “জনগণ বিজয়ের মাসে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষায় রুখে দাঁড়িয়েছে।” 

কর্মসূচিতে নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “জনগণের জানমাল রক্ষায় দেশবিরোধী শক্তির হুমকির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসী গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

“আমাদেরকে জনগণের স্বার্থে অবশ্যই রাজপথে থাকতে হবে। এটাই আমাদের শক্তি। আমরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসিনি। যাদের জন্ম ক্যান্টমেন্টে তারা রাজপথকে ভয় পায়, জনগণকে ভয় পায়। সমাবেশের নামে যারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তাদেরকে আমরা চিনি এবং তাদের জ্বালাও-পোড়াও এর আগেই মূল উপড়ে ফেলতে হবে।”  

নগর কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা সফর আলী ও শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আব্দুল আহাদ।

এ দিন নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগর ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করে।