চার বছর আগে উপজেলা নির্বাচনের সময় হলফনামায় স্ত্রীর কোনো সম্পদের তথ্য দেননি এ আওয়ামী লীগ নেতা। এবার সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে কোটি টাকার বেশি।
Published : 09 Dec 2023, 09:27 AM
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী গত চার বছরে লাখপতি থেকে হয়েছেন কোটিপতি। পাশাপাশি কোটিপতি হয়েছেন তার স্ত্রীও।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোতাহেরুল ইসলামের জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে মিলেছে এ তথ্য।
এবারের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসন (পটিয়া উপজেলা) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে তাকে।
সংসদ ও উপজেলা দুই নির্বাচনেই মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী তার আয়ের উৎস দেখিয়েছেন কৃষিখাত ও দোকান ভাড়া। ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৩৬ হাজার টাকা। যার মধ্যে কৃষি থেকে ২৪ হাজার টাকা এবং বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ তিন লাখ ১২ হাজার টাকা আয় ছিল।
চার বছরের ব্যবধানে তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়। যেখানে কৃষিখাতে আয় ৫০ হাজার টাকা। আর দোকান ও ঘর ভাড়া বাবদ আয় তিন গুনের বেশি বেড়ে ১০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় স্ত্রীর কোনো সম্পদের তথ্য দেননি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। এবার সংসদ নির্বাচনে তার দেওয়া হলফনামা বলছে, তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এখন কোটি টাকার বেশি।
চার বছর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় মোতাহেরুল ইসলামের হাতে নগদ ৮১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা থাকার তথ্য দেওয়া হয়েছিল। কৃষি ও অকৃষি জমির দাম দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৫০ টাকা। ওই সময় তার হফলনামায় স্ত্রীর সম্পদের ঘর খালি রেখেছিলেন মোতাহেরুল।
মোতাহেরুল ইসলাম তার এবারের হলফনামায় অস্থাবর সম্পত্তির ঘরে নিজের নগদ টাকার পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৯২ টাকা। স্ত্রীর হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ চার লাখ ৫০ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির ঘরে নিজের নামে দুই দশমিক ১৮৫ একর ও স্ত্রীর নামে ১১ দশমিক ৫ একর কৃষি জমি দেখিয়েছেন। যেখানে নিজের জমির মূল্য দেখিয়েছেন ১১ হাজার ৩৩৬ টাকা, আর স্ত্রীর নামে থাকা জমির মূল্য এক কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৫০টাকা।
নিজের নামে তিন তলা ভবনসহ ৬০ শতক জমির দাম ৭৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা; স্ত্রীর নামে এক দশমিক ২৫ একর জায়গার জুড়ে পাকা বাড়ির দাম ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং নয়টি দোকানের দাম ২০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
হলফনামায় মামলার কোনো তথ্য দেননি মোতাহেরুল ইসলাম।