Published : 31 Oct 2023, 02:30 PM
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেন সুইডেনের মালমোয় ‘ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির আউটস্ট্যান্ডিং অ্যালুমনাস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এ ভূষিত হয়েছেন।
গত শনিবার সুইডেনে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (ডব্লিউএমইউ) ক্লাস-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
ডব্লিউএমইউর চ্যান্সেলর ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব কিটাক লিম এই পুরস্কার সাজিদ হোসেনের হাতে তুলে দেন।
ডব্লিউএমইউর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌ প্রকৌশলী সাজিদ হোসেন ডব্লিউএমইউর একজন ‘সাপোর্টার ও প্রোমোটার’ এবং ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব গভর্নেসের একজন সক্রিয় সদস্য।
“তিনি বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির দীর্ঘদিনের কমান্ড্যান্ট, একজন আইএমও গুডউইল মেরিটাইম অ্যাম্ব্যাসেডর, আইমারেস্ট লন্ডনের একজন ট্রাস্টি ও কাউন্সিল মেম্বার এবং ফ্রেন্ডস অব ডব্লিউএমইউ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট।”
সুইডেনে অবস্থানরত কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৫ বছর আগে ১৯৯৮ সনে আমি এমএসসি ইন মেরিটাইম সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং) ডিগ্রি অর্জন করি। এরপর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাপোর্টার ও প্রোমোটার’ হিসাবে নানা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।”
২০১২ সালে প্রবর্তনের পর থেকে ১৬ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। কোনো বাংলাদেশি হিসেবে সাজিদ হোসেন প্রথম এই পুরস্কার পেলেন।
১৯৮৩ সালে ডব্লিউএমইউ প্রতিষ্ঠা করে আইএমও। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৭০টি দেশের ৫ হাজার ৮০৭ জন মেরিন প্রফেশনাল এখান থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ১১৭ জন বাংলাদেশের।
সাজিদ হোসেন ২০০৯ সাল থেকে মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে তিনি ১৯৯৩-২০০৯ সালে একাডেমির ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী, প্রধান প্রকৌশলী ও ডেপুটি কমান্ড্যান্ট এবং ১৯৮০-১৯৯৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সমুদ্রগামী জাহাজে ক্যাডেট থেকে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।