২০২১ সালের ১২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে ছিলেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
Published : 18 Dec 2022, 08:37 PM
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলাম নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
হাই কোর্টের দেওয়া জামিনের নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর রোববার বিকালে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জেলার এমরান আহমেদ জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আজিজুল হকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা ছিল। সর্বশেষ মামলার জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছোনোর পর যাচাই বাছাই করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় বিক্ষোভের সময় হাটহাজারী থানায় আক্রমণ করে ভাঙচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।
হেফাজতে ইসলামের মূল কার্যক্রম পরিচালনা হয় যে মাদ্রাসা থেকে, সেই হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম ময়নুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে বের হওয়া মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় হাটহাজারী থানায়। পাশাপাশি হেফাজতকর্মীরা হাটহাজারী উপজেলা ভূমি অফিস ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে এবং মাদ্রাসার সামনে দেয়াল তুলে ব্যারিকেড দেয় হেফাজতের কর্মীরা। দিনভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী রিমান্ডে
হাটহাজারির ঘটনায় ২০২১ সালের ৩০ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি এবং ভূমি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। কারো নাম উল্লেখ না করে এসব মামলায় আসামি করা হয় কয়েক হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে।
সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ২২ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী এবং বিএনপি নেতা মীর হেলালকে আসামি করে আরও তিনটি মামলা হয় হাটহাজারিতে।
এসব মামলায় হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতার পাশাপাশি জামায়ত ইসলামীর শূরা সদস্য ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একই বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে। চট্টগ্রামের মামলার পাশাপাশি ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের তাণ্ডবের মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।