গরুর খামার, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা প্রাচীর, বসতঘর, শৌচাগার, দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা রয়েছে এর মধ্যে।
Published : 24 Oct 2024, 10:09 PM
চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ও কালির ছড়া খাল দখল করে গড়ে ওঠা আরও ৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান চালিয়ে গরুর খামার, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা প্রাচীর, বসতঘর, শৌচাগার, দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের সেমি পাকা ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই দিনে মোট ৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে হারবাতলী থেকে উজানের দিকে বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত কালীর ছড়া খালের শাখা-প্রশাখাসহ মোট প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
অভিযানে মোট ২৮টি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ৮টি পানির সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার ওই এলাকায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হয়। ১৭ অক্টোবর বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় হওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
কালির ছড়া খালটি সর্বনিম্ন ২৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ৬০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু দখলের কারণে এখন খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। খালের বিভিন্ন অংশ ভরাটও হয়ে গেছে।
২০০৬ সালের আকবর শাহর পাহাড়ি এলাকায় ৩০ একর জমি কিনে লেক সিটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে ও প্লট বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে সেখানে পাকা রাস্তাও করে দেয় সিসিসি।
বুধবার অভিযানের প্রথম দিনে ডেইরি ফার্ম, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা দেয়াল, দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩০টি পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এ অভিযানে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করছে।
পুরনো খবর