ভ্রাম্যমাণ মঞ্চে ছড়াল বিজয়বার্তা

“এখনো দিকে দিকে হায়েনার ডাক শোনা যায়,” বলেন নাট্যজন প্রদীপ।

নতুন প্রজন্মের কাছে বিজয়বার্তা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চে চট্টগ্রামে গান-কবিতা-কথামালাসহ নানা আয়োজন পরিবেশন করল বোধন আবৃত্তি পরিষদ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ আয়োজন করা হয় ‘পথে পথে বিজয়-গাঁথা’ শিরোনামে।

সকালে নগরীর বৌদ্ধ মন্দির মোড়ে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠ সৈনিক জয়ন্তী লালা'র কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এ আয়োজন।

এ সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী বলেন, “সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকারের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। যেখানে গণমানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি লালসবুজের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

“তবে এখনো দিকে দিকে হায়েনার ডাক শোনা যায়। এখনো শকুনির থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সোনার বাংলাদেশ।

কথামালায় অংশ নেন নাট্যজন সুচরিত চৌধুরী টিংকু, লায়ন বাসুদেব সিনহা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সদস্য আবৃত্তিশিল্পী সেলিম রেজা সাগর।

এরপর বোধনের শিশুবিভাগের দলীয় পরিবেশনা ‘দেশকে ভালোবাসো’ পরিবেশিত হয়। পথে পথে বিজয়গাঁথা'র দ্বিতীয়পর্ব শুরু হয় বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে।

সেখানে শুরুতে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ধ্রুপদ সঙ্গীত নিকেতনের শিল্পীরা। এরপর স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন আমন্ত্রিত কবি ও সংগীতশিল্পী কেশব জিপসী, কবি উৎপল কান্তি বড়ুয়া, কবি জসীম মেহবুব, কবি সুপ্রতীম বড়ুয়া, আবৃত্তিশিল্পী মাহবুবুর রহমান মাহফুজ।

বিকাল পাঁচটায় নগরীর কাজীর দেউড়ী মোড়ে অতিথি ছিলেন মঞ্চমুকুটের দলপ্রধান নাট্যজন সুচরিত দাশ খোকনের। এরপর উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করেন।

দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল নগরীর চেরাগীপাহাড় মোড়ে। এতে বোধনের আবৃত্তিশিল্পীদের পরিবেশনায় দলীয় প্রযোজনা ‘মিছিলের রাজপথ' পরিবেশিত হয়।

কথামালায় অংশ নেন কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক ও আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান।

এ পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী সোহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিপ্লব কুমার শীল, আবৃত্তিশিল্পী পলি ঘোষ, জসিম উদ্দিন, ডেইজি সেনগুপ্তা এবং ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দলের সদস্য আবৃত্তিশিল্পী জুহি সেনগুপ্তা।

সবশেষে দেশের গান পরিবেশনায় যুক্ত হন ‘গান পোকা’ সংগীতশিল্পীরা।