এসব স্থাপনার কারণে ওঠানামার পথ সরু হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল।
Published : 11 Jan 2024, 11:03 PM
চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশ পথের লাগোয়া ১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা মৌজার এক নম্বর খাস খতিয়ানের দশমিক ১৪৩৬ একর জমি দখলমুক্ত হয়েছে।
অভিযানে নেতৃ্ত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত ভবনে উঠানামার পথে গড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে।
“উদ্ধার হওয়া জমিতে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের পরিকল্পনায় জনসাধারণের চলাচলের পথ প্রশস্তকরণ, ওয়াশ ব্লক স্থাপন, পার্কিং ও বসার স্থান নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।”
অবৈধভাবে দখল ছাড়তে উচ্ছেদ নোটিস দেওয়া হলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনের মাধ্যমে সেই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল জানিয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “তাদের করা দুটি রিট গত নভেম্বর মাসে নিষ্পত্তি হয়। তাই আজ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
“অবৈধ এসব স্থাপনার কারণে ওঠানামার পথ সরু হয়ে যাওয়ায় এ স্থানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল। কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটলে অগ্নি নির্বাপক গাড়ি যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।”
উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি হোটেল, ফটোকপির দোকানসহ বিভিন্ন দোকান ছিল।
পরীর পাহাড়ে অবস্থিত পুরাতন আদালত ভবনে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ প্রায় ৩০টি সরকারি অফিস এবং ৭০টির বেশি আদালত রয়েছে।
এসব আদালত ও অফিস গুলোতে প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৭-৮ হাজার আইনজীবী এবং ৪-৫ হাজার আইনজীবী সহকারী দায়িত্ব পালন করে।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে নগর পুলিশের একটি দল, পিডিবির প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রকৌশলী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দল উপস্থিত ছিল।