বাবুলের জামিন আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন বিচারক।
Published : 22 Jan 2023, 05:03 PM
পিবিআই কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানার করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের করা রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিম সোমবার শুনানি শেষে মিতু হত্যা মালায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা বাবুলের জামিন আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন।
বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পিবিআই কর্মকর্তার করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন।
স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি বাবুল আক্তার, তার বাবা ও ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচারের’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর নগরীর খুলশী থানায় করা এ মামলায় ২৪ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাবুল আক্তারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু এ মামলায় জামিনে আছেন।
একই অভিযোগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় করা পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের আরেক মামলায় বাবুলের বাবা ও ভাই জামিনে রয়েছেন। এ মামলা দুটির আরেক আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে পলাতক দেখিয়ে মামলার কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রামের ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় জামিন মেলেনি বাবুলের
চট্টগ্রামের মামলার অভিযোগ, আসামিরা ‘পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ পুলিশকে ভারতীয় বাহিনী বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বন্ধু প্রতীম ভারতকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করে ও জনসমক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য প্রচার করে’ মানহানি করেছে।
“গত ৩ সেপ্টেম্বর কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে: খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ৪২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে প্রচার করা হয়।”
এর আগে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম নগরের এসপি নাঈমা সুলতানা, তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাবেক পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে বিবাদী করে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার।
২৫ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়। এর কয়েকদিনের মধ্যে বাবুলসহ তার বাবা-ভাই ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি হয়।