ইতিহাস বিকৃতিকারীদের ‘দুষ্কৃতিকারী’ আখ্যা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
Published : 13 Mar 2021, 09:07 PM
শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, “যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটায়, তারা ইতিহাসের পাতায় এক ধরনের দুষ্কৃতিকারী।”
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, তারা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরে সত্যটাকে মেনে নেবে, ইতিহাসকে মেনে নেবে।
“কিন্তু তারা জন্মলগ্ন থেকে যে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে, সাতই মার্চ পালন করতে গিয়েও সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।”
বিএনপির সাতই মার্চ পালনের প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু এমনভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছিল কী করতে হবে। তখন সবাই মাঠে নেমে পড়েছিল, ‘বাঁশের লাঠি তৈরি কর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগানে। কিন্তু পাকিস্তানিরা সেটা বুঝতে পারেনি। বুঝলেও অভিযুক্ত করতে পারেনি।
“এখন দেখলাম ৭ মার্চ পালন করতে গিয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিল, পাকিস্তানীরা যেমনি বুঝতে পারে নাই, তেমনি বিএনপিও বুঝতে পারে নাই। পাকিস্তানীদের বোঝার সাথে বিএনপির খুব মিল রয়েছে।”
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ।
সিটি আউটার রিং রোডে সাইকেল লেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথম থেকেই সিডিএর কাছে নিবেদন ছিল এখানে একটা সাইকেল লেইন রাখার।
“আমি বিদেশে পড়ালেখাকালে সাইকেল চালিয়ে ভার্সিটি আসা-যাওয়া করতাম। আমাদের শহরগুলোতেও এ ধরনের সাইকেল লেইন করতে পারলে ভালো হয়।”
চট্টগ্রাম শহরের কয়েকটি সড়কেও সাইকেল লেইন করার জন্য সিডিএকে অনুরোধ জানান হাছান মাহমুদ।
‘বিজ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার ধানমণ্ডিতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মিলনায়তনে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি শীর্ষক তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ দিন বক্তব্য রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, “পেছনের তিনটি শিল্প বিপ্লবে আমরা পিছিয়ে পড়লেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে।
“বিজ্ঞানমনস্ক জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্য ঘোষণা দেন ২০০৮ সালে, আর ভারত এমনকি যুক্তরাজ্যের ঘোষণাও এর পরে এসেছে। আমাদের মেধাবী সন্তানেরা বিশ্বের বহু স্থানে স্থাপত্য-নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সমানতালে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই মেধাগঠন ও বিজ্ঞানচর্চার উত্তরোত্তর প্রসার একান্ত প্রয়োজন।"
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “আমাদের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদেরকে বৈশ্বিক পরিচিতি দিতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ।