আ. লীগ-বিদ্রোহীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত চট্টগ্রামের ভোটের মাঠ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ তেমন দেখা না গেলেও অধিকাংশ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মাঠে রয়েছেন এই দলেরই বিদ্রোহীরা, যাতে সংঘাতপ্রবণ হয়ে উঠেছে নির্বাচনী পরিবেশ।

মিঠুন চৌধুরীমিঠুন চৌধুরী চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2021, 11:42 AM
Updated : 14 Jan 2021, 04:10 PM

করোনাভাইরাস মহামারীতে সাড়ে নয় মাস আটকে থাকার পর গত শুক্রবার এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার চার দিনের মাথায় মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাঠানটুলিতে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে দলটির একজন কর্মী নিহত হয়েছেন।  

এই পরিস্থিতিতে সংঘাত এড়ানো এবং মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা করে কেন্দ্রের কাছে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর আওয়ামী লীগ।

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতেই আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

গত মেয়াদের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ জন দলের মনোনয়ন পাননি। তাদের মধ্যে নয়জন বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন। একজন মারা গেছেন, একজন দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, একজন অসুস্থ এবং অন্য দুজন নির্বাচন করছেন না।

ওই নয়টি ওয়ার্ড ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে আছে চট্টগ্রামের নির্বাচনী পরিবেশ। এসব বিদ্রোহীদের মধ্যে বেশিরভাগের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনায় মামলা, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগ আছে। তাদের মধ্যে আটজনই নগরীর রাজনীতিতে বিদায়ী মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

সংঘাতে মৃত্যুর পর নেতাদের তৎপরতা

গত বছর মার্চে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নগরীতে দুজন নিহত হয়েছেন।

গত বছরের ১৮ মার্চ রাতে ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয়ে খুন হন আনোয়ার জাহের তানভীর (৪৫) নামের একজন।  হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে দলীয় প্রার্থী মো. ইসমাইলের দুই অনুসারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সবশেষ মঙ্গলবার রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের সমর্থকদের সঙ্গে দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মহল্লা সর্দার আজগর আলী বাবুল (৫৫)।

পরদিন বাবুলের ছেলের করা হত্যা মামলায় আব্দুল কাদেরসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বাবুলের জানাজায় গিয়ে হত্যাকাণ্ডের ‘নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরও’ বিচার দাবি করেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রায়ত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুর দীর্ঘ দিন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন তিনি আছেন নওফেলের সঙ্গে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীও নওফেলের সঙ্গে বাবুলের জানাজায় গিয়ে খুনিদের শাস্তি দাবি করেন। তবে বাবুলের জানাজায় যাননি নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বাবুল খুনের পর কাউন্সিলরদের বিরোধ নিয়ে নগর আওয়ামী লীগে তোড়জোড় শুরু হয়। বুধবার রাতেই কার্যকরী কমিটির সভায় বসেন নেতারা।

ওই বৈঠকে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ভোট ঘিরে আর যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় এবং নির্বাচনী পরিবেশ যেন শান্তিপূর্ণ থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রার্থীরা নিজ দলের বিরোধীদের ঠেকাতে ‘অন্য দলের লোকজন জড়ো করে বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত সৃষ্টি করছেন’ বলে দলের নেতাদের আলোচনায় উঠে আসে। এতে মেয়রের ভোটেও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্রোহীদের দল ও সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে যেন তারা নির্বাচনের সুযোগ না পায় এবং বিদ্রোহীদের যারা সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।”

কার্যকরী কমিটির সভায় ‘সর্বসম্মতভাবে’ এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সিসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহানগর আওয়ামী লীগ সভা করে বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

“যারা বিদ্রোহীদের নেপথ্যে সমর্থন দিচ্ছে আমি মনে করি, তারা দল করে না। তারা দলের বিরোধিতা করছে। তাদেরও দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।”

এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষা ‍উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষ হয় বেলা ৩টায়।

সভার বিষয়ে নওফেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকালের সভার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দল যাদের মনোনয়ন দিয়েছে তাদের পক্ষে আমরা সবই ঐক্যবদ্ধ থাকব।

“বিদ্রোহীদের কেউ পৃষ্ঠপোষকতা না করার বিষয়ে একমত হয়েছি। তিনিও (আ জ ম নাছির) এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের জন্য নগর আওয়ামী লীগ তালিকা করে দ্রুততম সময়ে কেন্দ্রে পাঠাবে।”

এ বিষয়ে আ জ ম নাছিরের বক্তব্য জানতে টেলিফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন জরুরি কাজে ব্যস্ত আছি। পরে আপনার সাথে কথা বলব।”

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

চট্টগ্রামে যারা কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী গত মেয়াদের কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। ২০১৬ সালের ৫ মে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজারে যুবলীগকর্মী নূর এলাহী হত্যা মামলার আসামি তৌফিক। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি তৌফিকের নামে ‘লাইসেন্স করা’ বিদেশি রাইফেল ও ৫৬ রাউন্ড গুলিসহ তার ভাগ্নে ও চাচাত ভাইকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগও আছে।

২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্য সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু। নগরীর বায়েজিদকেন্দ্রিক পাহাড় কাটা, দোকানে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ওই এলাকায় গত এক দশকে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর কারণ হিসেবে বাবুর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপর একটি পক্ষের বিরোধকে দায়ী করে এলাকাবাসী।

৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী আগের মেয়াদের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম। তার বিরুদ্ধে হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান কৈবল্যধাম এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণের নামে ‘জমি দখলের চেষ্টার’ অভিযোগ ওঠে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে জসিমের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। এলাকায় পাহাড় কাটা, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।

১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী। এই ওয়ার্ডে দলের সমর্থনে প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইসমাইল।

এই দুই প্রার্থীর বিরোধের জেরে গত বছরের ১৮ মার্চ রাতে খুন হয় আনোয়ার জাহের তানভীর (৪৫)। নিহত তানভীর আগে তার অনুসারী ছিলেন বলে দাবি ইসমাইলের।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহলকে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলি বাজারে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। শুরুতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ‘গণপিটুনিতে’ তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করে পুলিশ।

পরে সোহেলের ভাই বাদী হয়ে পরিকল্পিত হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সে সময়ের কাউন্সিলর সাবের আহম্মেদসহ ২৭ জনের নামে মামলা করে। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তারের পর ২০১৯ এর ২৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করা সাবের এবার বিদ্রোহী প্রার্থী।

১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী এফ কবির মানিক। এখানে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি দিদারুল আলম মাসুম দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। গত দুই বছরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০টির বেশি মামলা হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দুই নেতার দুই অনুসারী ছুরিকাঘাতে আহত হন।

গতবারের কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে এবার বিদ্রোহী প্রার্থী। এলাকার ফুটপাত ও টেম্পুস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম লিমনের অনুসারীদের সঙ্গে সোহেলের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ালে একজন আহত হয়।

১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া নূর মোস্তফা টিনু, যদিও যুবলীগের কোনো পদে তিনি নেই। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। টিনু সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। চকবাজার, চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন এলাকা ও চান্দগাঁও এলাকায় নূর মোস্তফা টিনুর প্রভাব রয়েছে।

২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদের নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে খুন-চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু মামলা আছে। মঙ্গলবার রাতে বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি।

৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন গতবারের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিপ্লবের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১২ মে থানায় আটক এক প্রাইভেটকার চালককে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণ করার অভিযোগ ওঠে।

২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহে তিনি দল মনোনীত প্রার্থী আবদুস সবুর লিটনকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের গত মেয়াদের কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়েছিলেন। তিনি গত বছরের ২৭ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এই ওয়ার্ডে এখন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি জহির উদ্দিন বাবর, যিনি আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের একাধিকবারের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা তারেক সোলায়মান সেলিমও বিদ্রোহী প্রার্থী হন। তবে গত কয়েক মাস ধরে তিনি অসুস্থ।

৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আগের মেয়াদের কাউন্সিলর মো. জয়নাল আবেদীন দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হননি।

এছাড়া ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আটজন, ৪ নম্বর চান্দগাঁওয়ে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এসরারুল হকসহ ছয়জন, ৫ নম্বর মোহরায় দুজন, ৭ নম্বর ষোলশহরে একজন, ৮ নম্বর শুলকবহরে ওয়ার্ডে দুজন, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলীতে একজন, ১৩ নম্বর পাহাড়তলিতে দুজন, ১৬ নম্বর চকবাজারে দুজন, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়ায় একজন, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজারে একজন, ২২ নম্বর এনায়েতবাজারে একজন, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদে তিনজন, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহরে তিনজন, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়িতে দুজন, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটায় তিনজন, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে একজন, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গায় তিনজন এবং ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গায় চারজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।