হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার গভীর রাতে পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী সরাইপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওই থানার ওসি মাইনুর রহমান।
গ্রেপ্তার মো. সোহেল (৩৫) ও জনি (২৭) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইলের সমর্থক বলে পুলিশ জানায়।
বুধবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলীল সরাইপাড়া লোহার পুল এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয়ে খুন হয় আনোয়ার জাহের তানভীর নামে (৪৫) এক জন।
তানভীরকে নিজের সমর্থক দাবি করে মোরশেদ হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্খী মো. ইসমাইলের সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
পাহাড়তলী থানার ওসি মাইনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার আশেপাশে অভিযান চালিয়ে সোহেল ও জনিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক তথ্যে জানতে পেরেছি সোহেলের নেতৃত্বে তানভীরের ওপর হামলা করা হয়। আর নেছার নামে এক জন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তানভীরকে ছুরিকাঘাত করে।”
ঘটনার পর নেছার পালিয়ে গেলেও তার বাসা থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
হামলার সাথে সম্পৃক্তরা সবাই কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইলের সমর্থক উল্লেখ করে ওসি মাইনুর জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তানভীরের বড় ভাই তৌফিক জাহের বাদী হয়ে মামলা করবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ইসমাইল টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার রাতে তার সমর্থকরা গণসংযোগ শেষে বাসায় ফেরার পথে মোরশেদ আকতারের সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় অন্ধকারের মধ্যে তানভীরকে কেউ ছুরিকাঘাত করেছে।
হত্যাকান্ডের দোষীদের শাস্তি দাবি করলেও ইসমাইল তার সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
ইসমাইল আরও বলেন, “তানভীর আমার সাথে রাজনীতি করত। সে আমার পক্ষের লোক। নির্বাচনের আগে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না মনে করে সে মোরশেদের পক্ষ নিয়েছিল।”