গ্রেপ্তার শফিউল বাশার রনি (২৮) ও সোহেল রানা (৩২) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তৌফিক বলছেন, ওই অস্ত্র তার লাইসেন্স করা। অস্ত্রটি অন্য কেউ বহন করতে পারবে না তা তিনি ‘জানতেন না’।
যুবলীগ নেতা তৌফিক চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তৌফিকের অনুসারীরা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র অস্ত্রের মুখে দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে চৌধুরীহাটের ‘মেসার্স স্টার অটোপার্টস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শাহেদা সুলতানা জানান।
অস্ত্রধারীদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা রাইফেলটি পয়েন্ট টু টু বোরের জিএসজি-ফাইভ অটোমেটিক মডেলের বলে র্যাব জানায়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রনি হাটহাজারী থানার আমান বাজার এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন রানা নারায়ণগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে আমান বাজারে থাকেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীও আমান বাজারের বাসিন্দা।
“বিকালে ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে বেরোনোর পর আমি সামনের গাড়িতে উঠি। পিছনের গাড়িতে ওরা ছিল।ssss আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রটিও ওই গাড়িতে ছিল।”
অস্ত্র-গুলিসহ ওই দুজন গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘ভুল বোঝুবঝি’ দাবি করে তিনি বলেন, অস্ত্রের লাইসেন্সের কাগজপত্র নিয়ে তিনি র্যাবের কাছে যাবেন। বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
এ বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা শাহেদা সুলতানা বলছেন, “যারা গ্রেপ্তার হয়েছে অস্ত্রটি তাদের নয়। অন্য কারও অস্ত্র বহন করা বেআইনি এবং মামলাযোগ্য অপরাধ।
“অস্ত্রের লাইসেন্সের একটি ফটোকপি তারা দেখিয়েছে। ওই লাইসেন্সও মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া লাইসেন্স থাকলেও ৫০ রাউন্ডের বেশি গুলি বহন করা যায় না। তাদের কাছে ৫৬ রাউণ্ড গুলি পাওয়া গেছে।”
তবে তৌফিক দাবি করছেন, জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত তার অস্ত্রের লাইসেন্সের মেয়াদ রয়েছে।