চট্টগ্রামে কেন্দ্র দখল করে হাতি মার্কায় ‘ভোট উৎসব’

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামের ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেলেও সরকারসমর্থক প্রার্থীর সমর্থকদের কেন্দ্র দখল এবং গোলযোগ বাধিয়ে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে ভোটারদের উপস্থিতি।

মিন্টু চৌধুরী মিঠুন চৌধুরী, উত্তম সেনগুপ্ত, মোস্তফা ইউসুফবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 09:47 AM
Updated : 28 April 2015, 04:52 PM

দুপুর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারসমর্থক প্রার্থীর হামলায় আহত হন অন্তত তিন সংবাদকর্মী। 

দিনের শুরুতে কিছু কেন্দ্রে বিএনপিসমর্থিত মেয়রপ্রার্থীর এজেন্ট থাকলেও পরে আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অন্তত ২০টি ভোটকেন্দ্রে এমন চিত্রই দেখতে পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদকরা।

এর বাইরে কয়েকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোটও হতে দেখা গেছে।

ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ এনে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে নির্বাচনে বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপিসমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম। এ নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল কমলা লেবু।

তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রতীক ছিল হাতি।

বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের কয়েকজন প্রার্থীর পক্ষেও ব্যালটে সিল মারতে দেখা যায় তাদের কর্মীদের। সিল মারা অবস্থায় পড়ে থাকা ব্যালটও পাওয়া গেছে কয়েকটি কেন্দ্রে।

নির্বিচারে সিল মারতে গিয়ে দখলকারীরা অনেক ব্যালটে গোল সিল মেরে দিয়েছেন। কেন্দ্রের ভোট সংখ্যার অতিরিক্ত সংখ্যক ব্যালটেও সিল মারার তথ্য মিলেছে।

কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পেরে ভোটাররা আক্ষেপ নিয়ে সাংবাদিকদেরও তিরষ্কার করেছেন।

দখল হওয়া অধিকাংশ কেন্দ্রে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ‘জীবনের নিরাপত্তা’র কথা বলে তারা ছিলেন নিশ্চুপ।

ঘটনাপ্রবাহ

সকাল পৌন ৮টায় নগরীর আন্দরকিল্লায় মুসলিম ইন্সটিটিউট বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে প্রায় ৭০ জন ভোটারকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ৮টা ৫ মিনিটে সেখানে ভোট শুরু হয়।

সকাল সোয়া ৮টায় মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় লাইনে দাঁড়ানো আছেন প্রায় ৫০ জন।

এ কেন্দ্রের ‍সাতটি বুথের মধ্যে তিনটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলমের কোনো এজেন্ট ছিলেন না। যে চারটি বুথে এজেন্ট ছিলেন তাদের কারও গলায় কমলা প্রতীকের কার্ড দেখা যায়নি।

সকাল ৯টা পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালি ও চকবাজার এলাকার বেশ কিছু কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়। এসব এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থীর এজেন্টদেরই দেখা যায়।

সকাল সাড়ে ১০টায় এ কে খান গেইট এলাকায় চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেলেও ভোটগ্রহণ হচ্ছিল ধীর গতিতে।

মাদ্রাসার দুটি কেন্দ্রের মধ্যে একটি মহিলা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. নাসিরুদ্দিন জানান, তার কেন্দ্রের ১৭৫৫ ভোটের মধ্যে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ২৫৯টি ভোট পড়ে।

হাতি প্রতীকের কার্ডধারী যুবকদের ওই কেন্দ্রের ভেতরে অবাধে চলাচল করতে দেখা গেলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন নিস্ক্রিয়।

মাদ্রাসার তৃতীয় তলায় পুরুষ কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথের সামনে বেশ কয়েকজনকে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়, যাদের গলায় হাতি মার্কার কার্ড ঝুলছিল। কেন্দ্রের বাইরে এরকম কয়েকজনকে প্রকাশ্যেই দেখা যায় হাতি প্রতীকে ভোট চাইতে।

বেলা ১১টার দিকে নগরীর বেলুয়ার দীঘির পাড় এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে লাঠি নিয়ে হাতি মার্কার কার্ডধারীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

পাহাড়তলী হাজি ক্যাম্পের দুটি কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই সরকারসমর্থক নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে ভোটারদের হুমকি দিতে দেখা যায়। তাদের কয়েকজন ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ারও হুমকি দেন।

বেলা ১২টার দিকে ওই ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ঝাউতলা বঙ্গবন্ধু বাংলা বিদ্যাপিঠ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার সময় গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের সমর্থক প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর-যুবক কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়ে আছেন।

দক্ষিণ হালিশহর কেজিএন বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতি মার্কার সমর্থকদের দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয় সকাল ১১টার দিকে। এ সময় সেখানে আহত হন একাত্তর টিভির প্রতিবেদক আজাদ তালুকদার ও ক্যামেরাপারসন জহিরুল ইসলাম। 

বেলা সাড়ে ১১টায় আগ্রাবাদ ব্যাপারী পাড়া তালেবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রে ঢুকে পুরুষদের ব্যালটে সিল মারতে দেখা যায়।

সেই ছবি তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আরটিভির ক্যামরাপার্সন পারভেজ ও প্রতিবেদক কাজী মনজুরুল ইসলাম।

সাড়ে ৯টার সময় ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙা ওয়ার্ডে বারিক মিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুটি বুথে সরকারদলীয় লোকজন ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরেন। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল হালিমের কলার চেপে ধরেন হাতি মার্কার এক সমর্থক।

ওই কেন্দ্রে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কর্মীদের সঙ্গে আরেক প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ-বিজিবি-র্যা ব গিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু করে।

নগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সরকার দলীয় সাংসদ (এম এ লতিফের) এর উপস্থিতিতে কেন্দ্র দখল করে সরকার দলীয়প্রার্থীর পক্ষে ব্যালটে সিল মারা হয়।”

পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আমীর খসরু বলেন, নগরীর ৮০ শতাংশ ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে।

দক্ষিণ পাহাড়তলিতে কেন্দ্র দখল, বোমাবাজি

নগরীর ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের অন্তত চারটি ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সরকার সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকেই বোমা ফাটিয়ে অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক সংলগ্ন বিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে নেয় হাতি মার্কার সমর্থকরা। এরপর সকাল ১০টার দিকে দখল হয় অলি আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

অলি আহমদ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শতাধিক যুবক অস্ত্র নিয়ে এসে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল মেরে বাক্সে ভরে চলে যায়।

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে হাতি মার্কার কার্ড ঝোলানো শ’খানেক যুবককে মিছিল করে চলে যেতে দেখেন।

ওই সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, “একটি বুথে ভোট আছে ৫৩৪টি। কিন্তু তারা প্রায় চারশ ব্যালটে সিল মেরে ফেলে। পড়ে বাকিগুলো ফেলে রেখে চলে যায়।”

সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফজলুল কাদের দাবি করেন, মোট ২৫১০ ভোটের মধ্যে ১৫০০ ভোট পড়েছে। তবে সাতটি বুথের কোনোটিতেই কোনো ভোটার বা এজেন্টের দেখা মেলেনি।

কেন্দ্র সংলগ্ন শহীদ আজমল হোসেন লেনের বাসিন্দা বিএনপি সমর্থক এসএম ইসমাইল বাবু বলেন, “আমরা নিজেদের ভোট দিতে পারিনি। সকাল থেকে সশস্ত্র লোকজন কেন্দ্র দখল করে হাতি প্রতীকের পক্ষে ভোট উৎসব করেছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রের বাইরে বসে থাকা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আপনারা যা দেখতে পাচ্ছেন আমিও তাই দেখেছি। অপ্রীতিকর কিছুই ঘটেনি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।”

বেলা পৌনে ১১টায় ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে চরম অরাজক পরিস্থিতি দেখা যায়।

সাংবাদিকরা সেখানে ভোটারের লাইনে হাতি মার্কার কার্ডধারীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। পরে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে উপস্থিত যুবকরা নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেন।

সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত এক যুবক বলেন, “সব ঠিক আছে। আপনারা কি কিছু খেতে চান?”

বুথে গিয়ে দেখা যায়, হাতি মার্কার কার্ডধারী যুবকরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোক তাদের লাইনে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন।

কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, “ভাই আপনারা আস্তে আস্তে করেন।”

চশমা পরিহিত এক যুবক এ সময় বলে ওঠে, “আমরা তো সিল মারতেছি। বাইরের লোক (সাংবাদিক) কতগুলা আসছে, সমস্যা হচ্ছে।”

বেলা সোয়া ১১টায় ফতেয়াবাদ কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য কলেজের মাঠে শহীদ মিনারের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। ২০ গজ দূরে কলেজ ভবনে শতাধিক যুবক দারুণ ব্যস্ত।

৫ নম্বর বুথে ঢুকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার খোঁজ করলে ব্যালটে সিল মারতে থাকা এক যুবক নিজেকেই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। তবে তিনি পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি।

ফতেয়াবাদ কলেজ কেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে ‍চার কিশোর একযোগে ব্যালটে সিল দিচ্ছিল।

ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ফেরদৌস বেগম মুন্নী সাংবাদিকদের বলেন, “ভোট দেখতে এসেছিলাম। ভোট তো হয়ে গেছে।”

ফতেয়াবাদ কলেজ কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়ানো অর্ধশতাধিক ভোটারের একজন এ সময় সাংবাদিকদের বিদ্রুপ করে বলেন, “আপনারা কেন আসছেন? সব তো হয়ে গেছে। এখন সাংবাদিকের দরকারটা কী?”

বিবাদে বেপরোয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা

সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারসমর্থক মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা হয়ে গেলে তৎপর হয়ে ওঠেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।

বেলা ১১টার পর নগরীর ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মালেক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সলিমুল্লাহ বাচ্চুর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এই কেন্দ্রের একজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১২টার দিকে ‘কিছু লোক এসে’ ব্যালট ছিনিয়ে নেয়।

“পরে পুলিশ এসে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর আর তেমন ভোটার আসেনি। ব্যালট যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা ভোটারদের নির্ধারিত অংশে সই বা টিপসই কিছুই দেয়নি। চার কোনা সিলের বদলে মার্কার ওপর গোল সিল মেরে দিয়ে চলে গেছে।”

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলেজিয়েট স্কুলে কেন্দ্র থেকেও বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।

এ কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, একদল যুবক নিচতলার বুথ থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তা উদ্ধার করে দুই তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শেষে র্যা ব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

উত্তর আগ্রাবাদের মৌলভী সৈয়দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সকাল ১০টার দিকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।

বাকলিয়ার সরকারি কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউট কেন্দ্র দখলে নিয়ে সকালে সংঘর্ষে জড়ায় হাতি সমর্থকদের দুই পক্ষ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদের উপস্থিতিতেই হাতবোমা ফাটানো হয়।

অবশ্য পরে সংবাদ সম্মেলনে হাছান দাবি করেন, বিএনপির সমর্থকরা ওই ককটেল ফাটিয়েছে।