এ ঘটনায় কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি অভ্যন্তরীণ জিডি করেছে পুলিশ। বিপ্লব আগেও পুলিশের সঙ্গে এমন আচরণ করেছিলেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নগরীর ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব যুব লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব ২০১৪ সালে কেন্দ্র দখল করে ভোট আদায়ের অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বোর্ড সদস্যও তিনি।
তার বিরুদ্ধে জিডিতে বলা হয়, শনিবার বিকালে কোতোয়ালী থানার জিপিও মোড়ে ট্রাফিক আইন না মেনে গাড়ি চালানোর কারণে রকিবুল আলম (২৬) নামে প্রাইভেটকার চালকের সঙ্গে এক ট্রাফিক কনস্টেবলের কথা কাটাকাটি হয়।
রকিবুল ওই কনস্টেবলের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করায় থানা পুলিশের সহায়তা চায়। এ সময় কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে রকিবুলকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দলবল নিয়ে কাউন্সিলর বিপ্লব সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে রকিবুলকে ছেড়ে দিতে তদবির করেন।
তখনবিপ্লব থানায় ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা এসআই (প্রবেশনারি) নেলী দাশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
“বিষয়টি নিয়ে পরে বিপ্লব ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরও পুলিশের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন,” উল্লেখ করা হয়েছে জিডিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, বিপ্লব এ সময় উত্তেজিত হয়ে পিএসআই নেলী তাকে চেনেন কি না জানতে চান এবং তার চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকির পাশাপাশি মারমুখী আচরণ করেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি কোনো কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারী পুলিশ কর্মকর্তার সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল তার। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় ওই কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলর।”
এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ না করার অনুরোধ করে বলেন, “সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটা গতকাল (শনিবার) মিটমাট হয়ে গেছে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, নিউজটা না করলে হয় না?”