পরিষ্কার করা খাল-নালায় ময়লা-আর্বজনা, পলিথিন ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
Published : 04 Nov 2020, 07:54 PM
বুধবার সকালে নগরীর বির্জা খালের আর্বজনা অপসারণের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুজন বলেন, “নগরীর চাক্তাই-মহেষখালসহ অধিকাংশ খাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভরা। করপোরেশন মশক নিধনে এসব আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ শুরু করেছে। আগামীতে পরিষ্কার হওয়া খাল-নালায় কোন ময়লা, আবর্জনা দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, পুকুর, খাল-নালা পরিষ্কার রাখুন। এটা সামাজিক দায়িত্ব। খাল-নালায় পলিথিন, ককশিট ও অপচনশীল দ্রব্য ফেলা থেকে বিরত থাকুন।”
নগরবাসীকে পলিথিন বর্জনের আহ্বানও জানান তিনি।
“আমরা ইতোমধ্যে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও স্টেশন রোডের ফলমণ্ডিতে ময়লা রাখার জন্য পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ সরবরাহ করেছি। আমি চাই আমোদের এই প্রিয় নগর সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে পরিষ্কার রাখতে।”
এসময় নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ইছহাইক্যার পুল এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে জেনে সেখানে যান প্রশাসক।
এসময় পুলের নিচে ওয়াসার সংযোগ লাইনের দুটি বিশাল আকৃতির লোহার পাইপ দেখতে পান তিনি।
ওই পাইপের সঙ্গে কচুরিপানা, ঘাস, আগাছা, লতাগুল্ম আটকে খালের পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে দেখে তাৎক্ষণিক শতাধিক শ্রমিক নিয়োজিত করে তিনি এসব আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন।
মশকনিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় রাজনীতিক আহমদ ইলিয়াছ, মুক্তিযোদ্ধা এছাক মন্টু, সমাজসেবক শামসুল আলম, আবু জাফর, শফিউল আজম বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নগরীর পাহাড়তলি থানার সাগরিকা এলাকায় ফুটপাত ও নালা দখল করে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রি রাখায় আটটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।