চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা মূল চ্যানেলে বাড়লেও খালগুলো ভরাট হওয়াসহ দূষণ ও অবৈধ দখল বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
Published : 04 Oct 2020, 07:54 PM
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর সম্মেলন কক্ষে কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধকল্পে নদী সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ উদ্বেগ জানান।
নৌ পরিবহন সচিব নদী সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে তাদের প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নদীর দূষণ রোধ এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কর্ণফুলী নদী সংশ্লিষ্ট তাদের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সভায় অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধ কল্পে প্রণীত মাষ্টারপ্ল্যান যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাগুলোকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন নৌ পরিবহন সচিব।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কর্ণফুলী নদীর ভূমিকা অতুলনীয়। তাই ভবিষ্যতে এ নদীকে একদিকে দূষণ ও অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে অন্যদিকে নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও বড় জাহাজ গমনাগমনের সুবিধা তৈরি করতে হবে।