একুশে অগাস্ট গ্রেনেডে হামলার কুশীলবরা যেকোনো সময় ফণা তুলতে পারে বলে সতর্ক করলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
Published : 21 Aug 2020, 10:04 PM
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা যদি বুঝতে চেষ্টা না করি এখনও কেউ নিরাপদ নই, তাহলে নিঃশেষ হয়ে যাব। তখন আমাদের সকল অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। কেননা অগাস্ট ট্রাজেডির নেপথ্যের কুশীলবরা যেকোনো মুহূর্তে ফণা তুলবে। ওদের বিষাক্ত ছোবলে আমাদের রক্ত নীল হয়ে যাবে।
“আমরা বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন দেখি তা যদি ধুলিসাৎ হয়ে যায় তা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের পাতায় অভিশপ্ত হয়ে থাকব। তাই আজ আমাদের একটাই শপথ ও অঙ্গীকার হোক কোনো পাপ যেন আমাদের স্পর্শ না করে।”
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, “পঁচাত্তরের অগাস্টের অসম্পূর্ণ নীল নকশাকে সম্পূর্ণ করতেই ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা।”
যারা এই মিশনের কুশীলব তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা ও বাঙালির জাতিসত্তা অরক্ষিত থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “রাজনৈতিক চেতনাহীন কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। পরিস্থিতির কারণে জিয়াউর রহমানের মত যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। এই জিয়াউর রহমানই ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব।”
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও শফিক আদনান প্রমুখ।