অনলাইন জুয়া চালানোর অভিযোগে চট্টগ্রামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
Published : 23 Jul 2020, 07:47 PM
নগরীর খুলশী থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. সাখাওয়াত হোসেন ওরফে শাওন (২০) মনির আহমেদ (৪০), আরিফ উদ্দিন (৪০), ফয়সাল খান (৩২) ও জাবেদ মিয়া (৪০)।
এদের মধ্যে শাওন আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের দাবি। আর অন্যরা বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার এজেন্ট।
বৃহস্পতিবার নগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এই চক্রের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ জানান, চক্রটি বাইনানি ডটকম, বাইনানি টোয়েন্টিফোর ডটকম ওয়েবসাইট ও বাইনানি প্রোফি আইকিউ, বাইনানি গো- অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া খেলে।
“এই জুয়া খেলায় তরুণ-তরুণীদের প্রলুব্ধ করতে ফেইসবুক, ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেয় তারা। যারা খেলতে আগ্রহী তারা বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে টাকা দেন।”
এই চক্রের সাথে আরও কয়েকজন জড়িত আছে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান অতিরিক্ত কমিশনার শ্যামল।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আসিফ মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাওন বিভিন্ন এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের কর্মরতদের মাধ্যমে অন্যের নামে নিবন্ধন করা বিকাশ, রকেট, নগদ সিম সংগ্রহ করে। সেসব নম্বরের মাধ্যমে সে জুয়া খেলতে আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। শাওনকে অবৈধভাবে সিম সরবরাহ করায় অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আসিফ জানান, এই চক্রের সাথে বিদেশি নাগরিকও জড়িত আছে। শাওন ঢাকার একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। অল্প বয়সেই তিনি এই চক্রের লোকাল এজেন্ট হয়ে বিপুল টাকা আয় করেছেন।
“চট্টগ্রামে তার একটি ফ্ল্যাট ও গাড়ি আছে। গত ছয় মাস ধরে শাওন চট্টগ্রামে অবস্থান করে জুয়া পরিচালনা করছে। তার সাথে ঢাকার আরও কিছু লোকজন জড়িত আছে। শাওন এই খেলায় বিনিয়োগকারীদের টাকা সংগ্রহ করে। পরে সে ‘বিট কয়েনে’ রূপান্তর করে টাকা আর্ট স্ট্রং নামের এক ইউক্রেনের নাগরিকের কাছে পাঠিয়ে দেয়।”
শাওনের কাছ থেকে প্রাইভেট কার, তিনটি ল্যাপটপ, পাঁচটি মোবাইল, ১৮টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম, দুই লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা, মডেম জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আসিফ জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হেলেও সেটি মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় রূপন্তিরিত হতে পারে, তাই সিআইডি মামলার তদন্তভার নিয়েছে।