চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পূর্বনির্ধারিত প্রচারণার স্থানে জড়ো হওয়া দল সমর্থিত ও বিদ্রোহী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
Published : 15 Mar 2020, 02:40 AM
এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ এবং তার ছেলে আদনান সামির (১৮) আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনার পর সেখানে হাজির হলেও আর প্রচারণা না চালিয়ে অন্য একটি ওয়ার্ডে চলে যান আওয়ামী লীগের নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
শনিবার বেলা আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে নগরীর ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সেখান থেকেই মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর ওই ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরুর কথা ছিল।
এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ এবার সমর্থন দিয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীকে। দলের বিদ্রোহী হিসেবে ভোটে লড়ছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাসান মুরাদ।
স্থানীয়রা জানান, সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় মেয়র প্রার্থী রেজাউলের অপেক্ষায় ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, নগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুল হক মিয়া ও আব্দুল আহাদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শুরুতে হাসান মুরাদের নেতৃত্বে ও পরে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পৃথক মিছিল আসে।
এরপর দুই প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে ইট নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় হাসান মুরাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় দুই প্রার্থীই সেখানে ছিলেন। মিছিল থেকে মারামারির সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন আহত হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তী।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের মেয়র প্রার্থী সেখানে আসার আগেই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।
“ঘটনার পর প্রচারণা না করেই আমরা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যাই। আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে সভা আছে। ৩৮ নম্বর অনেক বড় ওয়ার্ড। তাই প্রচারণার শিডিউল বদল করা হয়েছে।”
সংঘর্ষের বিষয়ে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর মিছিল থেকে পাথর মারা হয়। এতেই সমস্যা হয়েছে। আমি সে সময় সেখানে ছিলাম না।”
ঘটনার বিষয়ে জানতে বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসান মুরাদকে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে এবং তার ছেলে আদনানকে ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ছেলেটি মাথায় আঘাত পেয়েছে।”
এর আগে শুক্রবার বিকেলে নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকায় মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে ওঠা নিয়ে দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।