সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ, পাহাড়ের মাটি কাটা ও জবর দখলের’ অভিযোগে বন বিভাগের করা মামলায় হালদা ভ্যালি চা বাগানের দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
Published : 14 Jan 2020, 09:27 PM
ওই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব আহম্মদ রানা মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে চট্টগ্রাম বন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট রেঞ্জের বালুখালী বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশ, গাছ কাটা, পাহাড়ের মাটি কাটা ও জবরদখলের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
নারায়ণহাট রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুরজিত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের ২২ জুন হালদা ভ্যালি চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক দলবল নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার রামগড়-সীতাকুণ্ড সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ করে’ গাছ কেটে নেয়।
“পাশাপাশি বেপরোয়াভাবে পাহাড়ের মাটি কেটে জবরদখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় উত্তর বন বিভাগের নারায়ণহাট রেঞ্জের বিশেষ টহল দল অভিযান চালালে তারা পালিয়ে যায়।”
ওই ঘটনায় ভূজপুর থানায় বন আইনে মামলা করেন বালুখালী বিটের বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম।
তবে বনবিভাগের অভিযোগ অস্বীকার করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ আবু তালেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে জমির বিষয়ে বলা হচ্ছে, তা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লিজ নিয়েছে হালদা ভ্যালি। বন বিভাগ দাবি করছে, ওই জমি তাদের।”