পনেরো দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে চট্টগ্রাম থেকে লাইটার জাহাজ (পণ্যবাহী ছোট জাহাজ) চলাচল বন্ধ রয়েছে।
Published : 27 Nov 2019, 01:03 PM
ধর্মঘটী লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ইছা মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নৌযান শ্রমিক লীগ সমর্থিত নৌ শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট আহ্বান করেছে। আন্দোলনে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে লাইটারেজ চালানো ও কাজ বন্ধ রেখেছে।”
ইছা মিয়ার দাবি তাদের সাথে নৌ শ্রমিকদের চারটি সংগঠনও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
‘নৌ শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের’ অধীনে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রলার (বাল্কহেড) শ্রমিক ইউনিয়ন ১০০ ভাগ খাদ্যভাতাসহ প্রদানসহ এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
তবে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের অন্য একটি অংশ বলছে, তারা ধর্মঘটের ডাক দেননি।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের অন্য অংশের সিনিয়র সহ-সভাপতি নবী আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১১ দফা দাবিতে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কর্মবিরতি শুরু হবে। সেটাকে বানচাল করার জন্য মালিকদের পক্ষ নিয়ে হঠাৎ করে ধর্মঘটের ডাকা হয়েছে।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঘাট থেকে ১৭২টি লাইটারেজ জাহাজ মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ বলেন, রাতে আউটারে (বহির্নোঙরে) যেসব লাইটার জাহাজ ছিল সেগুলোতে কাজ হয়েছে।
“সকাল থেকে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের একাংশের বাধার কারণে আউটারে কাজ হচ্ছে না। লাইটার মুভমেন্টও বন্ধ। পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলোতেও কাজ বন্ধ।”
ধর্মঘটের বিষয়টি আগে থেকে জানা থাকায় মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আউটারে লাইটার যাওয়ার সংখ্যা কম ছিল জানিয়ে মাহবুব রশিদ বলেন, এখন ৫০টির মত লাইটার বহির্নোঙরে অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ), কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাট এবং বিভিন্ন জেটি থেকে এসসব লাইটার জাহাজে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল পরিবহন করা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে চলাচলকারী প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ আছে। এসব জাহাজের মালিক প্রায় আটশজন। এগুলোসহ সারাদেশে সব নৌরুট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার লাইটার জাহাজ চলাচল করে।